শেষ চৈত্রের রোদ যত গনগনে হয়ে উঠছে, ততই যেন জমে উঠছে চৈত্র সেলের বাজার। গত দু’বছরের করোনার খরা কাটিয়ে আশ মিটিয়ে বাজার করতে নেমে পড়েছেন মানুষ। গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, নিউ মার্কেট, সর্বত্রই কেনাকাটার ভিড়! আর ক’দিন পরেই নতুন বছর, পয়লা বৈশাখ। তার আগে ঘরদোর সব নতুন করে সাজিয়ে ফেলতে হবে তো!
বিদেশে যেমন স্প্রিং ক্লিনিং, আমাদের বাংলাতেও তেমনি নতুন বাংলা বছর শুরুর আগে নতুন পোশাক কেনার পাশাপাশি বাড়িঘরও নতুন করে সাজানোর রেওয়াজ রয়েছে। ঘরদোর রং করানোর জন্যও এই সময়টা বেছে নেন অনেকে। আবার রঙ করার মতো বড় ঝকমারিতে না গিয়েও বিছানার চাদর, দরজা-জানলার পর্দা, কুশন কভার পালটে ঘরের চেহারা বদলে দিতেও ভালোবাসেন মধ্যবিত্ত বাঙালি।
এ বছর পয়লা বৈশাখে কেমনভাবে সাজাবেন আপনার বাসা? রইল উড়ানের টিপস।
বৈশাখ মানেই প্রকৃতি জুড়ে রঙের সমারোহ। একদিকে শিমুল, কৃষ্ণচূড়ার রং, অন্যদিকে সন্ধেয় বেলফুলের স্নিগ্ধ শুভ্রতা। এই দুয়েরই ছোঁয়া আনতে পারেন আপনার ঘরে। দেওয়ালের রং যদি হালকা হয়, তা হলে বেছে নিন উজ্জ্বল রঙের বিছানার চাদর, পর্দা।
বিছানার চাদর বা পর্দায় বড় জ্যামিতিক নকশা, বাংলার লোকায়ত মোটিফের ব্যবহার দেখতে ভালো লাগবে। পর্দায় একই সঙ্গে হালকা আর গাঢ় রঙের কম্বিনেশন করতে পারেন। গরমে খসখস বা বেতের পর্দা ঘর ঠান্ডা রাখবে, দেখাবেও সুন্দর।
দেওয়ালে নতুন করে রং করালে হালকা রং ব্যবহার করাই ভালো। তাতে অন্দরসাজের জন্য হালকা বা গাঢ়, যে কোনও রং মানিয়ে যাবে, ঘর বড় আর আলোঝলমলে দেখাবে।
বিছানার চাদর আর পর্দার সঙ্গে রং মিলিয়ে সাজিয়ে দিন কুশন কভার, টেবিল ক্লথ, টেবিল রানার। বেতের টেবিল রানারও চমৎকার দেখতে লাগবে।
কাচ বা পোর্সিলিনের ফুলদানি একঘেয়ে লাগলে কাঁসা বা পেতলের ছোট ঘটে ফুল সাজাতে পারেন। পেতলের থালায় অল্প জলে জুঁই বা বেলফুল ভাসিয়ে দিলে চমৎকার সুগন্ধে ভরে থাকবে ঘর।
খালি দেওয়ালে যেমন পট বা ছবি লাগাতে পারেন, তেমনি আয়না বা টেরাকোটার ছোট শো পিস দিয়েও সাজানো যায়। তবে একগাদা জিনিস দেওয়ালে সাজাবেন না, চোখের আরামের জন্য খালি জায়গা ছেড়ে রাখুন।
আলোর ব্যবহার গৃহসজ্জায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উজ্জ্বল আলো বেশি না রাখাই ভালো। মৃদু, হলুদ আলোয় উদ্ভাসিত করে তুলুন ঘর। বৈশাখের সন্ধেয় হালকা আলোআঁধারিতে স্বপ্নের পৃথিবী নেমে আসবে আপনার ঘরে।