মাস্কে মুখের নিচের দিকটা ঢাকা – এক ঝলক দেখলে কেবল চোখ ছাড়া আর কিছু দেখাই যাচ্ছে না! তাই কোভিড পরবর্তীকালে প্রসাধন হিসেবে কাজলের গুরুত্ব বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। কিন্তু বাজারে যে সব ব্র্যান্ডের কাজল মেলে, তার মধ্যে এমন কিছু কেমিক্যাল থাকে যা রোজ ব্যবহার করলে চোখের ক্ষতিও হতে পারে।
তা হলে কী করবেন? ভালো মানের কাজল কেনার চেষ্টা করুন। সাধারণত ভালো কোম্পানিগুলি প্রডাক্টের গূণমান নিয়ে খুব একটা ছেলেখেলা করে না। তাই যাঁরা রোজ কাজল ব্যবহার করেন, তাঁরা টাকা বিনিয়োগ করার ব্যাপারে কার্পণ্য করবেন না।
আর হাতে বাড়তি সময় থাকলে কাজল বানিয়েও নিতে পারেন বাড়িতে। চোখ কপালে তুলবেন না, আপনার ছেলেবেলাতেও বাড়িতে তৈরি কাজলের ব্যবহারইই প্রচলিত ছিল – নিজের হাতে মা-দিদিমারা তা তৈরি করতেন। তার চেয়েও বড়ো কথা হচ্ছে, বাড়িতে কাজল বানাতে খুব বেশি সময়ও লাগে না। তা হলে আর দেরি করে লাভ নেই – কী বলেন?
আমন্ড কাজল বানাতে কী কী লাগবে
একটি প্রদীপ
দু’টি ছোট স্টিলের বাটি
একটি স্টিলের মাঝারি প্লেট
কয়েকটি গোটা আমন্ড বাদাম
কয়েক ফোঁটা আমন্ড তেল
কাজল রাখার জন্য ছোট্ট রুপোর কৌটো
কীভাবে বানাবেন:
প্রদীপ জ্বালিয়ে নিন ঘি দিয়ে।
প্রদীপের দু’পাশে দুটি স্টিলের বাটি রাখুন, তার উপর প্লেটটা বসিয়ে দিন।
এমনভাবে প্লেটটি বসাতে হবে যেন তার নিচে প্রদীপের শিখাটি স্পর্শ করে।
যেখানে শিখা স্পর্শ করছে, ঠিক তার উপরে একটি আমন্ড রাখুন।
বাদামের প্রতিটি পিঠ যেন মিনিট দেড়-দুই তাত পায়, তাতে তা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।
সব বাদাম এইভাবে পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে নিন।
তারপর তা পাত্রে সংগ্রহ করে নিয়ে কয়েক ফোঁটা আমন্ড তেল মিশিয়ে নিলেই তৈরি আপনার কাজল!
পরার সময় আপনার পুরোনো কাজল পেনসিলের ডগার সাহায্য নিন, তবে এই কাজলের রং অনেক গভীর হবে।
ক্যাস্টর অয়েলের কাজল
আগের মতোই প্রদীপের দু’পাশে দু’টি বাটি বসিয়ে উপরে প্লেট রাখুন। তবে আমন্ড লাগবে না, প্লেটে ভালো করে ক্যাস্টর অয়েল মাখিয়ে নিন। আধ ঘণ্টা ধরে প্লেট গরম করলে কালি পড়বে, সেটাই কাচিয়ে নিয়ে সংগ্রহ করে রাখুন পাত্রে।
ঘিয়ের কাজল
এই একই পদ্ধতিতে প্লেটে ঘি মাখিয়েও কাজল তৈরি করে নিতে পারেন। ঘিয়ের কাজল আপনার চোখ দু’টিকেও শীতল রাখতে সক্ষম।