ফ্যাশন বা সৌন্দর্যের দুনিয়ায় মাঝে মাঝেই নতুন সব ট্রেন্ড আসে, আর তা নিয়ে মাতামাতি তুঙ্গে ওঠে। এখন যেমন মোলায়েম, বলিরেখাহীন ত্বকের জন্য জেড রোলার দিয়ে মুখ ম্যাসাজ করা দস্তুর। বুঝে বা না বুঝে সবাই তা কিনছেন – অনলাইন স্টোর বা চেনা বিউটি স্টোর, সর্বত্র মিলবে নানা দামের ও মানের এই বিউটি টুল।
. জানেন কি, জেড রোলারের ব্যবহার বহু পুরোনো? প্রাচীন চৈনিক চিকিৎসাপদ্ধতিতে এটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মনে করা হত যে জেড পাথরের তৈরি এই ছোট্টো রোলার দিয়ে মুখে মাসাজ করলে শরীরের নেগেটিভ এনার্জি বেরিয়ে যায়।
. অনেকে বলেন, জেড পাথরটা এমনিতেই খুব ঠান্ডা। তা ত্বকে স্পর্শ করলে তাই আরাম লাগে। কোনও তেল বা ক্রিম লাগিয়ে এই রোলার দিয়ে মুখে, গলায় ভালো করে মাসাজ করলে মুখের ফোলাভাব কমে, ত্বক টানটান থাকে।
. পাশাপাশি আবার এটাও সত্যি যে যাঁদের ত্বকে কোনও ইরিটেশন আছে, অল্প ঘষাঘষিতে লাল হয়ে যায়, ব্রণ বেরোয় – তাঁরা যদি জেড রোলার ব্যবহার করেন, তা হলে সমস্যা বাড়তে পারে আরও।
. ত্বকের ফোলাভাব কমাতে বা ত্বক টানটান রাখতে ফেশিয়াল মাসাজ খুব কার্যকর, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এবার সেই মাসাজ জেড রোলার দিয়েও করতে পারেন, তাতে খারাপ কিছু হবে না। ব্লাড সার্কুলেশন বাড়বে, ত্বক উজ্জ্বল হবে। কিন্তু, আপনাকে ম্যাসাজ করার সঠিক টেকনিক জানতে হবে। কোন দিক থেকে হাত চলবে, কতটা চাপ দিতে হবে তা না বুঝলে কিন্তু হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
. পার্লারে গিয়ে জেড রোলার ব্যবহারের আগে একবার চিন্তা করে নিন। সেটি যথাযথভাবে স্যানিটাইজ করা না হলে কিন্তু অন্য কারও ত্বকের ইনফেকশন আপনার ত্বকেও বাসা বাঁধতে পারে। নিজের জেড রোলার ব্যবহারের সময়েও তা যে কোনও সারফেসে রাখবেন না।
. মনে রাখবেন, এই ধরনের ট্রেন্ড জনপ্রিয় হয় মূলত চিত্রতারকা বা সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের হাত ধরে। তাঁদের ক্যামেরার মুখোমুখি হতে হয় নিয়মিত, সে জন্য বিশেষ ত্বকচর্চা ইত্যাদির প্রয়োজন পড়ে। রোজের জীবনে সাধারণ মানুষের এত কিছু লাগে না। আপনি যদি ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া, ব্যায়াম করেন তা হলে ত্বক এমনিতেই ভালো থাকবে।