চুলে যদি জট না পড়ে এবং সেই সঙ্গে তা লম্বাও হয়, তা হলে কার ভালো লাগবে না বলুন তো? বিশেষ করে লকডাউনের কারণে অনেকেই পার্লার যাচ্ছেন না, এবং সেই কারণে চুলও বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। তাই তার বিশেষ যত্নআত্তিও দরকার।
খুব বেশি শ্যাম্পু করছেন না তো?
চুল পরিষ্কার রাখতে হবে অবশ্যই। কিন্তু তাই বলে ঘন ঘন শ্যাম্পু করতে যাবেন না। শ্যাম্পু স্ক্যাল্প আর চুলের গোড়ায় জমে থাকা তেল-ময়লা সাফ করার পাশাপাশি ধুয়ে দেয় সিবেসিয়াস গ্ল্যান্ড থেকে নিঃসৃত পুষ্টিগুণ। তাই সপ্তাহে তিনদিনের বেশি শ্যাম্পু না করাই ভালো।
শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার আবশ্যক
কন্ডিশনার চুলের নরমভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়ম মেনে কন্ডিশনার লাগান। যতক্ষণ বলা হয়েছে, ততটা সময় রেখে তার পর ধুয়ে ফেলুন। খুব ভালো হয় এর পর সিরাম লাগাতে পারলে। তা সম্ভব না হলে এক ফোঁটা তেল হাতে নিয়ে পুরো চুলে লাগিয়ে নিন।
তেল ব্যবহার করুন শ্যাম্পুর আগে
তেল হচ্ছে আমাদের দেশজ প্রি-কন্ডিশনার। শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে অবশ্যই সামান্য উষ্ণ তেল ভালো করে মাসাজ করুন চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর। একেবারে আগার দিকে চুলের প্রাকৃতিক তেল পৌঁছতে পারে না সব সময়ে।
ভেজা চুল মুছুন পুরোনো টি-শার্ট দিয়ে
তোয়ালে বা গামছা নয়, নরম হয়ে আসা পুরোনো টি-শার্ট চুল মোছার জন্য সবচেয়ে ভালো। তা ঘর্ষণ এড়ায়, চুল ভাঙে না। ভেজা চুল আঁচড়াবেন না কোনও অবস্থাতেই!
অপ্রয়োজনে ড্রায়ার ব্যবহারের দরকার নেই
চুল শুকনো করুন স্বাভাবিকভাবে। ড্রায়ার বা কোনও বাড়তি তাপ ব্যবহার করলে চুল শুকনো হয়ে যায়, ভাঙতে আরম্ভ করে। আজকাল অনেকেই বাড়িতে টং, কার্লার বা স্ট্রেটনার ইউজ করেন স্টাইলিংয়ের জন্য। তাতেও চুল রুক্ষ হয়। এগুলি এড়াতে পারলে ভালো হয়।
ঘরোয়া হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন
ডিমের কুসুম, দই, নারকেল তেল, পাতিলেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার একঘণ্টা আগে এই মিশ্রণটা ভালো করে চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর লাগান। সপ্তাহে একবার লাগালে পুষ্টির সমস্যা মিটবে, তাতে চুলে মসৃণতা আসবে।
স্টাইলিং বা রং করার আগে প্রোটেক্টর লাগান
আজকাল বহুজাতিক কসমেটিক কোম্পানিগুলি চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার নানা উপাদান এনেছে। বিশেষ করে কেমিকাল হেয়ার কালার বা স্টাইলিং প্রডাক্ট ব্যবহারের আগে প্রোটেক্টর লাগানো উচিত। সবচেয়ে ভালো হয় বাড়িতে এগুলি ব্যবহার না করতে পারলে।
আপনার ডায়েট ঠিক আছে তো?
যে সব অভ্যেস মেনে চললে ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো থাকে, সেগুলিই চুল ঝলমলে রাখার জন্যও যথেষ্ট। প্রচুর জল খান, রোজের খাদ্যতালিকায় ফল বা বাদাম রাখুন। মাছ-মাংস, ডাল বা দুধের প্রোটিন দরকার, কারণ চুল তৈরিই হয় প্রোটিন দিয়ে। সেই সঙ্গে ব্যায়াম করতে পারলেও ভালো হয়।
সঠিক প্রডাক্ট ব্যবহার করুন
আপনি যে শ্যাম্পু বা তেল লাগাচ্ছেন চুলে, সেগুলি আপনার সহ্য হচ্ছে তো? নিজের চুলের প্রকৃতি বুঝে তবেই বেছে নিন প্রডাক্ট। প্যারাবেন ছাড়া প্রাকৃতিক সামগ্রী ব্যবহার করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।
ফোটো সৌজন্য: ইনস্টাগ্রাম