চুলের একাধিক সমস্যা লেগেই থাকে সারা বছর। বাতাসের ধুলোময়লা, দূষণ, চড়া রোদ এমনিতেই চুলের যথেষ্ট ক্ষতি করে। তার সঙ্গে কখনও কেমিক্যালে ভরা শ্যাম্পু-কন্ডিশনার, কখনও হিট স্টাইলিং বা হেয়ার ট্রিটমেন্টের কারণেও চুল নিষ্প্রাণ দেখায়, উঠেও যায় দ্রুত! কাজেই চুলে স্বাস্থ্য ফেরাতে হলে যথাসম্ভব কেমিক্যাল বর্জন করা ছাড়া উপায় নেই, আর তার জন্য আয়ুর্বেদের পথ অবলম্বন করাই সবচেয়ে ভালো।
আয়ুর্বেদের প্রাকৃতিক উপাদান আপনার চুলের ভোল ফেরাতে পারে রাতারাতি, কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই! রইল তেমনই পাঁচটি উপাদানের হদিশ।
আমলা
আমলা বা আমলকি মানেই ভরপুর ভিটামিন সি। চুলের স্বাস্থ্যে আমলার ব্যবহার বহুদিন ধরে চলে আসছে! আমলকির তেল মাথায় মাখলে চুলের গোড়া মজবুত হয়, চুল অকালে পাকে না, বাড়েও তাড়াতাড়ি। আমলার এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড আর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট চুলের টেক্সচার সুন্দর করে তুলতে পারে।
নিম
ত্বকের যত্নে নিমের গুণের কথা তো নতুন করে বলার কিছু নেই! একইভাবে চুলেরও নানা সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে নিমে। এ জন্য চুলের তেল আর শ্যাম্পুতে নিমের নির্যাস যোগ করা হয়। নিম অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, তাই খুসকি সহ স্ক্যাল্পের নানা সমস্যা কমাতে পারে। পাশাপাশি চুল ওঠা, চুলের শুষ্কতার মতো সাধারণ সমস্যাগুলোও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নিমের ছত্রাকরোধী গুণ।ভৃঙ্গরাজ চুলের যত্নে যতরকম আয়ুর্বেদিক সামগ্রী ব্যবহার করা হয়, তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভৃঙ্গরাজ। প্রতিদিন চুলের গোড়ায় ভৃঙ্গরাজ তেল মালিশ করলে চুল ঘন হয় আর লম্বাও হয় দ্রুত। যাঁরা চুল ওঠার সমস্যায় ভুগছেন, আজ থেকেই ভৃঙ্গরাজ তেল মাখতে শুরু করে দিন!
রোজমেরি
হেয়ার কেয়ার প্রডাক্টে উপাদান হিসেবে রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করার রেওয়াজ আজকাল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আয়ুর্বেদে কিন্তু বহু শতক ধরেই রোজমেরি ব্যবহার করা হয়। রোজমেরিতে কারনোসল নামে একটি প্রদাহরোধী উপাদান থাকে যা হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে চুল গোড়া থেকে মজবুত হয়ে ওঠে।
তিসি
চুলে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি মাথা ঠান্ডা রাখতেও তিসির তেল খুব কাজের। সে জন্যই 90%-এরও বেশি আয়ুর্বেদিক ওষুধে বেস হিসেবে তিসির তেল ব্যবহার করা হয়। চুলের স্বাভাবিক জৌলুস ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে চুলের স্বাস্থ্য ভালো করতেও সাহায্য করে তিসির তেল।