আপনার যদি প্রিয় চিত্রতারকার একঢাল ফুরফুরে চুল দেখে হিংসে হয়, তা হলে জেনে রাখুন, তিনি নিশ্চিতভাবেই হেয়ার এক্সটেনশনের সাহায্য নিয়েছেন। কারণ ছবিতে সুন্দর দেখানোর জন্য যাঁরা রোজ হিট স্টাইলিংয়ের অত্যাচার সহ্য করেন, তাঁদের চুলের স্বাস্থ্য একটা সময়ের পর সাধারণত খারাপই হয়। যেহেতু চিত্রতারকাদের আশেপাশে অজস্র পেশাদার বিউটিশিয়ান ও স্টাইলিস্ট থাকেন, তাই তাঁদের পক্ষে ভোল পালটানোটা খুব সহজ। চট করে হেয়ার এক্সটেনশন লাগিয়ে নিলেই ঢাকা পড়ে তাঁদের চুলের অভাব বা স্বাস্থ্যহীনতা।
. নিজেকে জিগ্যেস করুন, কেন আপনার হেয়ার এক্সটেনশন লাগানোর তীব্র ইচ্ছে হচ্ছে? এগুলো চুলের সঙ্গে লাগানোর জন্য হয় আঠা, না হলে ছোটো ছোটো অজস্র লুপ ব্যবহার করা হয়। এই আঠার কারণে মাথার তালুতে চুলকানি হতে পারে, কারও কারো মাথাব্যথার সমস্যা বাড়ে। লুপ চুলের গোড়ার কাছে লাগানো হয়, তার ফলে স্বাভাবিকভাবে চুল আঁচড়ানো যায় না, টান পড়লে আসল চুল ছিঁড়ে যেতে পারে।
. ক্লিপ অন এক্সটেনশন লাগানো তুলনামূলকভাবে সোজা, কিন্তু সাবধানে খোলা-পরা না করলে আসল চুল ছিঁড়ে যেতে পারে। তবে নকল খোঁপা বা বিনুনি অথবা চুলের সামনে কয়েকটা বাড়তি গুছি তৈরির জন্য ক্লিপ অন এক্সটেনশন ব্যবহার করতেই পারেন – তেমন জিনিসপত্র যে কোনও বড়ো বাজারে কিনতেও পাওয়া যায় সহজে।
. এক্সটেনশনের নির্দিষ্ট যত্নবিধি থাকে, তা যথাযথভাবে না মানলে চুলে জট পড়ে যেতে পারে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ধুলোময়লা, আসল ও নকল চুল সব জড়িয়ে বিচ্ছিরি কান্ড হবে। তাই যে স্টাইলিস্টের কাছে এক্সটেনশন লাগিয়েছেন, তাঁর সমস্ত পরামর্শ মেনে চলুন অক্ষরে অক্ষরে। যে সময়ে এক্সটেনশন খুলে দেওয়ার কথা, সেই সময়েই তা খুলে ফেলুন, না হলে সমস্যা বাড়বে।
. খুব ভালো কোনও স্টাইলিস্টের কাছে গিয়েই এই প্রসিডিওর করানো উচিত – সস্তা খুঁজলে কার্যত আপনি নিজেই সমস্যায় পড়বেন। এমনকী মাথায় টাকও পড়ে যেতে পারে ক্ষেত্রবিশেষে! তা ছাড়া আপনি চশমা পরেন কিনা, ঘন ঘন চুলের রং বদলানোর অভ্যেস আছে কিনা ইত্যাদি নানা বিষয়ের তথ্য জেনে তবেই স্টাইলিস্টের কাজে হাত দেওয়া উচিত।
. যাঁদের কোনও শারীরিক সমস্যার কারণে চুল পড়ে গিয়েছে, তাঁরা আগে ডাক্তার দেখান, সমস্যার সমাধান কীভাবে হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করুন। না ভেবে-চিন্তে দুম করে হেয়ার এক্সটেনশন লাগানোর প্ল্যান করবেন না।