শুরু হয়েছিল সেই মার্চে, এখনও প্রাণ খুলে হেয়ারস্টাইলিস্টের কাছে যেতে পারছেন না অনেক ছেলেই। তাতে তেমন অসুবিধে নেই, ঠিকভাবে যত্নআত্তি করে রাখলে লম্বা চুলেও দেখতে ভালো লাগে অনেককেই। কিন্তু বেশিরভাগ পুরুষই সে রাস্তায় হাঁটেন না, ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়, সময়ের আগেই ঝরে পড়ে।
চুলের যত্ন যদি ঠিকভাবে নেন, তা হলে ডগা ফাটে না চট করে। আর ডগা না ফাটলে চুল না কেটেও বেশ কয়েকমাস চালিয়ে দেওয়া যায়। চুল নিয়মিত শ্যাম্পু করা জরুরি। তবে তাই বলে রোজ শ্যাম্পু দেওয়াটাও বাড়াবাড়ি, তাতে চুলের নিজস্ব তেলের ভান্ডারে ঘাটতি পড়ে। সপ্তাহে তিনবার শ্যাম্পু করলেই চলবে।
জিম, ব্যায়াম বা ফুটবল খেলার পর মাথা ভরা ঘাম নিয়ে কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না? খুব ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। খুব ময়লা হলে হালকা শ্যাম্পু দিন, তবে সেই সঙ্গে কন্ডিশনারও মাস্ট! কন্ডিশনার ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে, তা মাথায় লেগে থাকলে কিন্তু খুশকি হতে পারে।
আপনার হেয়ারব্রাশের স্বাস্থ্য ভালো রাখুন, তা নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। ভিজে চুল আঁচড়াবেন না, মাথা ভালো করে মুছে নিয়ে চুল হালকা শুকিয়ে নিন। তার পর আঁচড়ান। চেষ্টা করুন হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহার কমাতে, স্বাভাবিকভাবে চুল শুকনো করলে তার স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
চুলে নিয়মিত তেল লাগানো একান্ত জরুরি। হালকা গরম তেল ভালো করে স্ক্যাল্প আর চুলের দৈর্ঘ্য বরাবর লাগিয়ে নিতে হবে। কয়েক ঘণ্টা পর শ্যাম্পু লাগানো অভ্যেস করুন। মাঝে মাঝে দই, মধু, লেবুর রস আর অ্যালো ভেরা জেল দিয়ে তৈরি প্যাকও চুলে লাগিয়ে রাখতে পারেন, তাতে খুশকির উৎপাত কমে, চুল নরম থাকে। প্যাকটা শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে তুলে নিন। তার পর কন্ডিশনার লাগান।
ব্যবহার করুন হেয়ার সিরাম। তা চুলের গায়ে সুরক্ষার পরত তৈরি করে এবং তার স্বাস্থ্য ভালো রাখে। তবে আপনার চুলের প্রকৃতির সঙ্গে মানানসই প্রডাক্ট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন সব সময়ে।
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য ভালো খাওয়াদাওয়া করা একান্ত জরুরি।