ত্বক স্নিগ্ধ শীতল রাখতে গোলাপজলের ভূমিকার কথা কে না জানে! স্বচ্ছ, হালকা সুবাসে ভরপুর এই তরলটি একাধিক ফেস মাস্কে ব্যবহার করা হয়, টোনার হিসেবেও গোলাপজল খুবই উপকারী। কিন্তু জানেন কি, আপনার চুলের জন্যও গোলাপজল একইরকম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে? চুলের যত্নে গোলাপজলের ব্যবহার সম্পর্কে যদি ওয়াকিবহাল না হন, তা হলে জেনে নিন এক্ষুনি আর আপনার চুলে নিয়ে আসুন গোলাপের কোমলতা!
স্ক্যাল্পের যত্নে
এই গরমে মাথার ত্বকে চুলকানি হওয়া স্বাভাবিক। গোলাপজলের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি আর অ্যান্টি-অক্সিডান্ট গুণ মাথার চুলকানি আর প্রদাহ কমাতে পারে। তুলোয় করে গোলাপজল নিয়ে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন, কিছুক্ষণ রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
খুসকি কমাতে
গোলাপজলে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা রয়েছে যা মাথায় হাইড্রেশন ফিরিয়ে এনে খুসকি কমায়। পাশাপাশি গোলাপের নিজস্ব অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ মাথার চুলকানি কমিয়ে ত্বক সুস্থ রাখে। স্ক্যাল্পের প্রতিরোধ ক্ষমতা ফিরে এলে খুসকিও কমে যায়।
চুলের বৃদ্ধিতে
গোলাপজলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আর খনিজ উপাদান আছে যা চুল ভাল রাখে। চুল দ্রুত লম্বা আর ঘন করতে চাইলে স্প্রে বটলে গোলাপজল নিয়ে চুলের গোড়ায় আর স্ক্যাল্পে স্প্রে করুন। চুলের ফলিকল পুষ্টি পাবে, চুল বাড়বেও তাড়াতাড়ি।
চুল কন্ডিশন করতে
যাঁদের চুল রুক্ষ আর শুকনো, তাঁরা আজই ট্রাই করে দেখুন গোলাপজল। শুকনো চুলের লিভ-ইন কন্ডিশনার হিসেবে গোলাপজল খুব ভাল কাজ করে। যাঁদের রোদে রোদে ঘুরে কাজ করতে হয়, তাঁরাও সঙ্গে রাখুন গোলাপজল। প্রয়োজনমতো চুলে স্প্রে করে নিলেই ফিরে পাবেন স্বাভাবিক কোমলতা। এমনকী চুলের শেষভাগ রুক্ষ আর ফাটা হলেও গোলাপজল স্প্রে করুন, চুল আর্দ্র থাকবে।
চুল মজবুত করতে
গোলাপজলের ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ চুল গোড়া থেকে মজবুত করে তোলে। ফলে চুল ওঠা কমে যায় চোখে পড়ার মতো!
কীভাবে ব্যবহার করবেন গোলাপজল
গোলাপের পাপড়ি জলে ফুটিয়ে ছেঁকে ঠান্ডা করে নিলেই আপনার গোলাপজল তৈরি। ফ্রিজে রেখে দিন আর প্রয়োজনমতো ব্যবহার করুন। এ ছাড়া গোলাপের নির্যাসযুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে পারেন।