ফের একবার মরশুম বদলের সময় এসে গেল। বাতাসে হালকা ঠান্ডার ছোঁয়া আসতে শুরু করেছে, বেলা তো ছোট হয়ে এসেছে আগেই! আর প্রতিবার যেমন হয়, মরশুম বদলের প্রথম প্রভাবটা পড়ে আমাদের ত্বক আর চুলের ওপর। অনেকেই হয়তো খেয়াল করেছেন, চুল রুক্ষ হতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই! চুল উঠেও যাচ্ছে গোছা গোছা। তাই দেরি না করে এক্ষুনি চুলের বাড়তি যত্ন নিতেই হবে।
সত্যি বলতে চুলের যত্ন নিতে পার্লারে একগাদা টাকা খরচ করে ট্রিটমেন্ট করানোর দরকার নেই, বরং সহজ ঘরোয়া উপায়েই হতে পারে বাজিমাত! তার জন্য আপনার দরকার অ্যালো ভেরার তেল। চুল আর ত্বক, দুইয়ের জন্যই অ্যালো ভেরা খুব উপকারী। চুলের জন্য অ্যালো ভেরার তেল বানাতে আপনার লাগবে খানিকটা নারকেল তেল আর অ্যালো ভেরা পাতা। বাড়িতে বানিয়ে রেখে দিন এই টোটকা, মাসখানেক নিয়ম করে ব্যবহার করলেই চুল ওঠা তো বন্ধ হবেই, বরং পাতলা চুলও ঘন হতে শুরু করবে দিনে দিনে!
কেন কার্যকর অ্যালো ভেরা তেল
অ্যালো ভেরার রসে এ, সি, আর ই ভিটামিন রয়েছে। এ সব ভিটামিন চুলের ফলিকলগুলোকে সক্রিয় করে তোলে, ফলে চুল ওঠে কম, চুলের বাড়বৃদ্ধিও ভালো হয়।
কীভাবে বানাবেন অ্যালো ভেরার তেল
অ্যালো ভেরা গাছ থেকে একটা গোটা পাতা কেটে নিন। বাড়িতে গাছ থাকলে খুব ভালো, না হলে কোনওভাবে একটা টাটকা পাতা জোগাড় করতে হবে। আর চাই খানিকটা খাঁটি নারকেল তেল। কোল্ড প্রেসড তেল নিতে পারেন।
অ্যালো ভেরা পাতাটার দুটো ধার কেটে বাদ দিয়ে দিন। বাকিটা ছোট ছোট টুকরো করে হামানদিস্তা বা শিলপাটায় থেঁতো করে নিন। ছোট বাটির আধবাটি পরিমাণ নারকেল তেল নিয়ে তাতে থেঁতো করা অ্যালো ভেরা পাতাটা দিয়ে চামচ দিয়ে নেড়ে নেড়ে যতটা সম্ভব মিশিয়ে নিন। তারপর তেলটা হালকা আঁচে জ্বাল দিতে বসান। তেল অল্প ফুটতে শুরু করলে নামিয়ে ঠান্ডা করে ছেঁকে নিন। আপনার অ্যালো ভেরা তেল তৈরি। বোতলে ভরে রাখলে অনায়াসে দু’ তিন মাস ব্যবহার করতে পারবেন।
কীভাবে মাখবেন
চুল মাঝখানে সিঁথি করে দু’ভাগ করে নিন। এবার আঙুল তেলে ডুবিয়ে চুল ফাঁক করে করে স্ক্যাল্পে লাগাতে শুরু করুন। পুরো স্ক্যাল্প আর চুলে যেন তেল লাগে। ঘণ্টাদুয়েক রেখে কোমল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। রাতে মাখলে সারা রাতও রেখে দিতে পারেন, সকালে শ্যাম্পু করে নেবেন। সপ্তাহে দু’বার ব্যবহার করতে পারলে ম্যাজিকের মতো ফল পাবেন!