. খ্রিস্ট জন্মের ২৮০০ বছর আগে প্রাচীন ব্যাবিলনে সাবানের ব্যবহার হত!
. দুনিয়ার সবচাইতে দামি সাবান পাওয়া যায় লেবাননে – একটা বার কিনতে খরচ পড়বে হাজার তিনেক ডলার! সে সাবানে নাকি আসল সোনা আর হিরের গুঁড়ো মেশানো হয়, তাই এত দাম!
. লিভারপুলের কাছে জায়গা কিনে নিজের সাবান কারখানার কর্মীদের থাকার জায়গা তৈরি করেছিলেন উইলিয়াম লিভার বলে এক সাবান ব্যবসায়ী। তাঁদের লিভার ব্রাদার্স কোম্পানির সবচেয়ে সফল প্রডাক্ট ছিল ‘সানলাইট’ বলে একটি কাপড় কাচা সাবান। সেই নামে এই গ্রামের নাম হয় পোর্ট সানলাইট। এই সানলাইট সাবান আর লিভার ব্রাদার্সদের নামাঙ্কিত কোম্পানি আজও রমরমিয়ে চলছে। পোর্ট সানলাইটও খুব স্বমহিমায় বিরাজমান।
. দুনিয়ার সেরা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল সাবানও কিন্তু আদতে কোনও ব্যাকটেরিয়া মারে না, স্রেফ তাকে ধুয়ে দিতে পারে। বার বার হাত ধুলে হাতের তেল-ময়লা সাফ হয়, তেল চিটচিটে পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার করে দ্রুত। ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের সাবান বেশিদিন ব্যবহার করবেন না – তাতে ব্যাকটেরিয়া রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যেতে পারে।
. ডিটারজেন্ট বলুন বা আপনার গায়ে মাখার সাবান বা শ্যাম্পু, সবেতেই সোডিয়াম লরেল সালফেট বা SLS নামক একটি উপাদান থাকে। তার কাজ হচ্ছে সমস্ত ময়লাকে আলগা করে দেওয়া। এমনি জল দিয়ে ধুলে খানিকটা ময়লা সাফ হবে, বাকিটা দূর করতে সাহায্য করবে এটি।
বলা হয়, SLS ছাড়া সাবান বা কাপড়কাচা পাউডার খুঁজতে – কিন্তু কোমল বলে পরিচিত অনেক ফেস ওয়াশ বা বডি ওয়াশেও এটি লুকিয়ে থাকে। যাঁদের ত্বক খুব রুক্ষ আর স্পর্শকাতর, তাঁরা এই ধরনের উপাদান থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
. অনেকে বলবেন, তাঁরা দামী ময়েশ্চরাইজিং সাবান ব্যবহার করেন। জেনে রাখুন, ময়েশ্চার আর সাবান এই দুটো শব্দ পাশাপাশি থাকা মানে হচ্ছে সোনার পাথরবাটি গোছের কিছু একটা। ত্বকের সিবেসিয়াস গ্ল্যান্ড সারাক্ষণ সক্রিয় থাকে এবং তেল তৈরি করে। সেই প্রাকৃতিক তেলটা হচ্ছে আপনার সুরক্ষাকবচ। তা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। কিন্তু বাইরের দূষণ আবার এর উপরেই আটকে যায়, তাই ত্বক ময়লা হয়। সাবান সেটাই সাফ করে দেয়।
. সাবানে ময়েশ্চারের ভাগ বাড়ানোর জন্য তাতে তেল বা অন্য কোনও ফ্যাট মেশানো হয়। কিন্তু তার মাত্রা খুব কম। দেখা গিয়েছে, মোট ওজনের ৭%-এর বেশি ফ্যাট মেশালে সাবান গলে যায় তাড়াতাড়ি, আর ৩% এর কম হলে তা ত্বককে অতি রুক্ষ করে তোলে। তাই বুঝতেই পারছেন যে, দুধের সর বা বাড়তি ময়েশ্চার মেশানো কোমল সাবান তৈরি করাই সম্ভব নয়?
. চেষ্টা করুন গ্লিসারিন, হ্যালিউরোনিক অ্যাসিড, ল্যানোলিনযুক্ত সাবান কেনার। আসল গ্লিসারিন সাবান কিন্তু খুব কম দামে পাওয়া সম্ভব নয়। সাবানে খুব চড়া গন্ধ বা গাঢ় রং মেশানো হলেও মুশকিল – তা ত্বকের রুক্ষতার অন্যতম কারণ হয়ে উঠতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বক হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে সাবান ব্যবহার করা উচিত।
. সাবান ব্যবহারের পর অবশ্যই কোনও তেল, ক্রিম বা ময়েশ্চরাইজার ব্যবহার করতে হবে। একমাত্র তাতেই ঠেকাতে পারবেন রুক্ষতা – আর কোনও পথেই সাফল্য মিলবে না।