অনেকেই ভাবছেন, ব্যাপারটা বেশ সহজ – আন্দাজে ঢিল মারতে পারলেই কেল্লা ফতে করা যাবে। আসলে কিন্তু ব্যাপারটা মোটেই তা নয়। মাল্টিপল চয়েজ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্যেও চাই নিয়মিত প্রস্তুতি
. প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর সবার আগে ইনস্ট্রাকশন ভালো করে পড়ে নিতে হবে – যেহেতু সিস্টেমটা একেবারেই নতুন, তাই নিয়মকানুনও নতুন হবে – সেটাই স্বাভাবিক। দুই বোর্ডই রিডিং টাইম দিচ্ছে, তখনই বেছে নিতে হবে কোন কোন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে।
. নানা ধরনের ‘ট্রিকি’ প্রশ্নের জন্য তৈরি থাকতে হবে। সাধারণত চারটি অপশনের মধ্যে থেকে সঠিক উত্তর বেছে নিতে হয়। এর মধ্যে দুটো থাকবে ঠিকের খুব কাছাকাছি। ভালো করে পড়া না থাকলে গুলিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই প্রস্তুতিতে কোনওরকম ফাঁক রাখলে চলবে না একেবারেই।
. প্রশ্ন খুব ভালোভাবে পড়া জরুরি – তার মধ্যে নানা ঘোরপ্যাঁচ থাকে। অনেকেই প্রশ্ন না পড়ে উত্তর বাছতে আরম্ভ করে – সেটা ভুল অ্যাপ্রোচ।
. সঠিক উত্তরটা নিজের মাথায় ঠিক করতে হবে প্রথমে, তার পর আসবে অপশন বেছে নেওয়ার পালা। প্রস্তুতি ঠিক থাকলে প্রশ্ন পড়েই উত্তর মাথায় আসবে।
. পুরোনো প্রশ্নপত্র জোগাড় করে প্র্যাকটিস করা জরুরি। প্র্যাকটিস না থাকলেই মনে হয় ব্যাপারটা খুব সোজা, যা হোক করে উত্তর দিলেই হবে! পুরোনো প্রশ্নপত্র জোগাড় করে প্র্যাকটিস করা দরকার।
. কিছু কিছু প্রশ্নের ক্ষেত্রে ‘অল অফ দি অ্যাবাভ’ বা ‘নান অফ দি অ্যাবাভ’ অপশন মিলবে। এগুলি বাছাই করার সময় খুব সাবধান। ভালো করে পড়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই উত্তর দিতে হবে।
. যে সব প্রশ্নের উত্তর জানা, আগে সেগুলির উত্তর দেওয়াই ভালো।
. বাড়িতে সময় বেঁধে প্র্যাকটিস না করলে কিন্তু পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসা সম্ভব হবে না। বিশেষ করে অঙ্কের ক্ষেত্রে বেশি যত্নশীল হওয়া দরকার।
. হলে গিয়ে লিখে পরীক্ষা দিতে হলে যেভাবে প্রস্তুতি নিতে হত, ঠিক সেভাবেই রুটিন মেনে লেখাপড়া করতে হবে। উত্তর লেখার অভ্যেসটা যেন না ছাড়ে – তাতে পড়াটা ঠিকভাবে তৈরি হয় এবং সঠিক উত্তর বেছে নেওয়াটাও সহজ হয়ে আসে। আগের রাতে বইয়ে চোখ বুলিয়েই সেটা কিন্তু হবে না।