গার্ডিয়ান পত্রিকার এক রিপোর্ট জানাচ্ছে, অতিমারি পরিস্থিতি শুরু হওয়া থেকে গোটা বিশ্বের বহু মানুষের মনঃসংযোগের সমস্যা দেখা দিয়েছে। কোনও কাজেই মন টিকছে না বেশিক্ষণ – অজস্র ডিসট্র্যাকশন বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে ফোন আর সোশাল মিডিয়া মনঃসংযোগের ক্ষেত্রে বড়ো অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে আশার কথা হচ্ছে, ব্রেনকে যদি আপনি ট্রেনিং দেন, তা হলে সে ফের নিজের পুরোনো ক্ষমতা ফিরে পাবে। রোজ খানিকটা সময় নিজের জন্য বরাদ্দ রাখুন, ফোকাস করা প্র্যাকটিস করুন, ফল মিলবে খুব শিগগির। প্রথম সারির খেলোয়াড়, সৈনিক বা উচ্চপদস্থ কর্পোরেট কর্তারা কিন্তু রীতিমতো মনঃসংযোগ করাটা প্র্যাকটিস করেন প্রতিদিন।
. স্থির হয়ে বসুন, শ্বাসপ্রশ্বাসের গতির দিকে লক্ষ রাখুন
আপনার প্রথম প্র্যাকটিসটা হবে শ্বাসের গতি লক্ষ করা। যেভাবে মেডিটেশন করা হয়, সেভাবেই বসুন। চোখ বন্ধ করে গভীর শ্বাস নিন, ছাড়ুন। অন্য কোনও কথা ভাববেন না মিনিট তিনেক। দিনে দু’বার এভাবে বসলে সাতদিনের মধ্যেই ফারাক বুঝবেন।
. যখন যে কাজটা করবেন, তখন স্রেফ সেটাতেই মন দিন
ধরুন, আপনি আলমারি গুছোতে বসেছেন। অন্তত একটা তাক পুরোটা গোছানো না হলে অন্য কোনও কাজে হাত লাগাবেন না। রান্না করতে করতে অফিসের কাজ সারবেন না।
আমাদের ব্রেন সারাদিনে অজস্র ইনফরমেশন প্রসেস করে – বিজ্ঞানীরা বলেন, রোজ অন্তত ৬০০০ চিন্তাসূত্র থাকে মানুষের মাথায়। তার মধ্যে থেকে দরকারি তথ্য বেছে নিয়ে ফোকাস করতে হয়। যখন সে কাজটাই ঠিকমতো হচ্ছে না, তখন ব্রেনকে একসঙ্গে একগাদা তথ্য না দেওয়াই ভালো।
. মেনে নিন যে আপনার মনঃসংযোগে সমস্যা হচ্ছে
নিজের সমস্যাটা মেনে নেওয়া জরুরি। একমাত্র তা হলেই সমাধানের দিকে এগোনো সম্ভব। বহু মানুষ বলেন যে তাঁদের মাথায় একসঙ্গে অজস্র চিন্তা ভিড় করে থাকে – আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, তা থেকে পালানোর চেষ্টা করবেন না। বেছে নিন, কোন চিন্তাগুলি আপনাকে জীবনের পথে এগিয়ে দেবে। কেবল সেগুলিতেই ফোকাস করুন।
. প্রতিটি দিন উপভোগ করা জরুরি
আমাদের সমস্যা হচ্ছে, আমরা কেউ নিজেদের জীবন বা পারিপার্শ্বিক নিয়ে খুশি থাকতে পারি না। সব সময়ে মনে হয় যে অন্যেরা অনেক ভালো আছে, বা একদিন আমিও ওই ভালো থাকায় পৌঁছতে পারব। মিথ্যে আশার পিছনে ছুটে সময় নষ্ট করবেন না, প্রতিটি দিনকে ভালো করে তোলার চেষ্টা করুন।