৮০সি খাতে সর্বাধিক ট্যাক্স বাঁচানোর সুযোগ নিচ্ছেন তো?
এখনও পর্যন্ত যা নিয়ম আছে, তা মানলে সর্বাধিক ট্যাক্স বাঁচানোর সুযোগ মেলে ৮০ সি খাতে (বছরে ১.৫ লক্ষ)। যাঁরা ঝুঁকি নিতে চান না, তাঁরা সঞ্চয়ের চিরাচরিত পথে আস্থা রাখুন। পাঁচ বছরের জন্য ট্যাক্স সেভার এফডি করতে পারেন, লাইফ ইনশিওরেন্স পলিসি করা যায়, আরও নানা পথ আছে যা নিরাপদ সঞ্চয় নিশ্চিত করে – সেগুলি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
যাঁরা একটু ঝুঁকি নিয়ে ভালো রিটার্ন পেতে আগ্রহী, তাঁরা টাকা রাখুন মিউচুয়াল ফান্ডে। তবে কিছু মিউচুয়াল ফান্ডে তিন বছরের লক-ইন পিরিয়ড থাকে, সেগুলিকে ইএলএসএস ফান্ড বলা হয় – এ সব বিষয়ে ভালো করে জেনে বুঝে তবেই এগোন। নিজেরা পড়াশোনা করে নিতে পারেন, সাহায্য নেওয়া যায় ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানারেরও।
৮০সিসিডি খাতেও কিছু সুবিধে মেলে, সেটা হেলায় হারাবেন না
ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম, অটল পেনশন যোজনায় টাকা রাখলে ভালো ছাড় মিলবে। অনেকে বলেন যে ন্যাশনাল পেনশন স্কিমে রিটার্ন খুব কম – কিন্তু সে ধারণা সঠিক নয়। এই ক্যাটেগরিতে যতগুলি ফান্ড আছে, সব ক’টির পারফরম্যান্সের তুল্যমূল্য বিচার করে তবেই এগনো উচিত। টাকা রাখতে পারেন সরকারি বন্ডেও। ডেট ফান্ডে টাকা রাখা খুব ভালো সিদ্ধান্ত। তবে মনে রাখবেন, এই খাতে টাকা রাখলে তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ থাকে। সেটা মাথায় রেখে তবেই এগোনো ভালো।
হোম লোন আছে তো?
হোম লোন করে একটা ফ্ল্যাট কেনার অনেকগুলো সুবিধে আছে। ট্যাক্স বাঁচবে, মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে এবং খেয়াল রাখবেন — বাড়ির দাম কখনও কমে না। যাঁরা বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকেন, তাঁরা তো জানেন যে ভাড়া প্রতি বছর বাড়ে, কিন্তু লোনের ইএমআই বাড়ার প্রশ্ন নেই!
এছাড়া সন্তানের লেখাপড়ার খরচ, এডুকেশন লোনবাবদ ছাড়, মেডিক্লেম পলিসিতে দেয় প্রিমিয়ামবাবদ কিছু টাকাও ছাড় পাওয়া যায়। বিশেষ করে আজকের পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সবার ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিমা থাকা মাস্ট। অফিসের মেডিক্লেমের ভরসায় বসে থাকবেন না, নিজেও পরিবারের সকলের স্বাস্থ্যবিমা করিয়ে রাখুন। স্বাস্থ্যবিমা করানোর সময় বয়স্কদের মেডিক্যাল রিপোর্ট, বয়স ইত্যাদি নিয়ে কোনও ভুল তথ্য দেবেন না – তাতে সামইয়িকভাবে প্রিমিয়াম কম হলেও ক্লেম পেতে কালঘাম ছুটে যাবে।