. দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন নামের যে স্ট্রেনটি পাওয়া গিয়েছে, তার কারণে কি আবার গোটা বিশ্বে অর্থনীতির চাকা থমকে যাবে? এই প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে গোটা বিশ্বে আপাতত থরহরি কম্প অবস্থা। একের পর এক দেশ ফের আন্তর্জাতিক বিমান যাত্রায় নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।
. বিশ্বের সব শেয়ার বাজারই পড়ছে হুড়মুড়িয়ে। গত এক সপ্তাহে ভারতের সেনসেক্স আর নিফটি পড়েছে যথাক্রমে ২.৮৭% আর ২.৯১%। জার্মানি শেয়ার বাজারে নেমেছে ৪.১৫% ধস, ইংল্যান্ডে ৩.৬৪%। ওমিক্রন যদি ডেল্টার মতো ছড়াতে আরম্ভ করে, তা হলে পরিস্থিতি নিঃসন্দেহে আরও খারাপ হবে।
. কী হবে যদি ফের অর্থনীতির চাকা স্তব্ধ হয়ে যায়? যদি সংক্রমণ ঠেকাতে আবার লকডাউন ঘোষণা করতে হয়? নিঃসন্দেহে তখন ফের কর্মহীন হবেন বহু মানুষ, শেয়ার বাজারও আরও অনেকটাই নামবে।
. জানেন কি, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দর পড়তে আরম্ভ করেছে? অশোধিত তেলের দাম যত কমবে, এ দেশেও তত দ্রুত পড়বে পেট্রোল, ডিজেলে, রান্নার গ্যাসের দাম। ফলে মূল্যবৃদ্ধিও খানিক কমার আশা আছে।
. অক্টোবরের মাঝামাঝি সেনসেক্স ছিল ৬২ হাজারের বেশি, এখন তা রয়েছে ৫৬-৫৭ হাজারের আশেপাশে। এই বিপুল পতন দেখে শেয়ার বেচে দেওয়ার কথা ভাবছেন? তেমনটা করলে কিন্তু ভুল করবেন।
. উলটে হাতে সামান্য কিছু বেশি টাকা থাকলে এখন তা দিয়ে শেয়ার কিনে রাখার উপদেশ দিচ্ছেন রিস্ক অ্যানালিস্টরা। তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, মার্কেট চিরদিন এমনই থাকবে না, কোভিড পরিস্থিতি একটু সামলে গেলেই তা ফের ঘুরে দাঁড়াবে। তাই এখন সস্তায় শেয়ার কিনে রাখা ভালো।
. বিনিয়োগ করার সময় বুঝে-শুনে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। কোন কোন ক্ষেত্র আগামীদিনে ভালো করবে তা আন্দাজ করে টাকা ইনভেস্ট করুন, ট্র্যাডিশনাল অ্যাপ্রোচ আঁকড়ে বসে থাকবেন না।
. মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার জন্যেও এটাই সেরা সময়। তবে বাজার যদি আরও পড়ে, তখন হতাশ হলে চলবে না। আপনাকে ভরসা রাখতে হবে। অর্থনীতির চাকা একটা সময়ে ঘুরবেই। এখন কম টাকা খরচ হলেও পরবর্তীকালে আপনি ভালো রিটার্ন পাবেন।
. অন্ধভাবে কোনও মিডলম্যানের কথায় ভরসা করে বিনিয়োগ করবেন না। নিজে বুঝে সিদ্ধান্ত নিন। টাকা আপনার, এটুকু দায়িত্ব আপনাকে নিতেই হবে।