বেশিরভাগ মা-বাবাই বলেন যে তাঁদের বাচ্চারা মোটেই বই পড়তে চায় না। আর বই পড়তে না চাইলে ভাষা শেখা মুশকিল। তৈরি হয় না কল্পনাশক্তি – ফলে ইস্কুলের খাতায় নম্বর ওঠে না মোটে। কিন্তু আমরা এমন কতগুলো রাস্তা বাতলে দিতে পারি যা ছেলেবেলা থেকে অভ্যেস করালেই বাচ্চা বই পড়ার আগ্রহ পাবে। তবে হ্যাঁ, সঙ্গে আপনাকেও কিছু পরিশ্রম করতে হবে – সময় কাটাতে হবে বাচ্চার সঙ্গে।
১. বোঝার চেষ্টা করুন আপনার বাচ্চা কোন ধরনের বই পড়তে ভালোবাসে
সব বাচ্চা রূপকথা ভালোবাসে না, তেমনই আবার সবাই অ্যাকশন গল্পও পছন্দ করে না। বাচ্চা কী পড়তে পছন্দ করে সেটা খুঁজে বের করুন প্রথমে, তার উপর নিজের পছন্দ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।
২. জোরে জোরে গল্প পড়ুন
বাচ্চা পড়তে না চাইলে কোনও সমস্যা নেই, আপনি তাকে গল্প পড়ে শোনান। পড়ার সময় প্রতিটি শব্দ পরিষ্কার করে উচ্চারণ করুন, পারলে অভিনয় করে দেখান। প্রতিটি চরিত্রের জন্য আলাদা আলাদা গলা ব্যবহার করতে পারলে খুব ভালো হয়।
৩. যে কোনও ধরনের পড়ার ব্যাপারে উৎসাহ দিন
কেবল গল্পের বইতেই আটকে রাখবেন না, বাচ্চাকে ই-বুক পড়ান, খবরের কাগজের কার্টুন খুলে দিন। স্কুলের বইয়ে যে যে চ্যাপটার পড়া হচ্ছে না, সেগুলি পড়িয়ে বুঝিয়ে দিতে পারেন। কবিতা, গল্প সব কিছু নিয়েই তার আগ্রহ তৈরি করে দিতে হবে আপনাকে।
৪. পড়ার জন্য নির্দিষ্ট একটা সময় বরাদ্দ রাখুন
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বা দুপুরে বিশ্রামের সময়ে গল্পের বই সঙ্গে রাখার অভ্যেস গড়ে তুলতে পারলে খুব ভালো হয়। বাচ্চাকে বই কিনে দিন। একেবারে ছেলেবেলা থেকে বই উপহার পেলে সেও পড়ার উৎসাহ পাবে।
৫. বইয়ের নানা ধরনের সঙ্গে বাচ্চার পরিচয় করিয়ে দিন
ই-বুক, অডিয়ো বুক থেকেও আজকের দিনের বাচ্চাকে দূরে সরিয়ে রাখার কোনও মানেই হয় না! টানা বসে অডিয়ো বুক শুনলেও কিন্তু বাচ্চার শব্দভান্ডার উন্নত হবে।
৬. বাচ্চা কোনও ভাষা ঝরঝরিয়ে পড়তে না পারলে কিন্তু বই পড়তে চাইবে না
কোনও বাচ্চাকে বই পড়ায় অভ্যস্ত করে তোলার সব চাইতে সহজ রাস্তা হচ্ছে তাকে পড়তে শেখানো। আগে দেখুন আপনার বাচ্চা ঝরঝরিয়ে পড়তে পারছে কিনা, তার রিডিং স্কিলের উপর নির্ভর করে বই বেছে নিন। গোড়া থেকেই কঠিন পরীক্ষা দিতে কারই বা ভালো লাগে বলুন তো?