আপনার বাচ্চা কি কিছুদিন হল বড়োই অমনোযোগী হয়ে গিয়েছে? লেখাপড়ায় মোটেই আগ্রহ নেই, ছোটো ছোটো অজস্র ভুল করছে রোজের কাজে? তা হলে তার রুটিনে কিছু পরিবর্তন আনার চেষ্টা করতে হবে, তবেই ফল পাবেন। মনে রাখবেন, সমস্যা বাড়লে বাচ্চার সঙ্গে আপনাকেও খানিক সময় কাটাতে হবে। বেশি বকাঝকা করে কিন্তু কোনও লাভ নেই, সন্তান ধীরে ধীরে গুটিয়ে যেতে আরম্ভ করবে। তার চেয়ে অনেক জরুরি হচ্ছে সমস্যার কারণটা খুঁজে বের করা।
প্রতিটি কাজ নিখুঁতভাবে করার অভ্যেস তৈরির চেষ্টা করুন
একসঙ্গে অনেক কিছু করতে যাওয়ার দরকার নেই, একটা একটা করে কাজ করার অভ্যেস তৈরির উপর জোর দিন। সেই সঙ্গে মনে রাখবেন, রাতারাতি কিছুই হয় না, বাচ্চারও সময় লাগবে। এই সময়টায় আপনি তার পাশে থাকুন, তার উপর মাথা গরম করবেন না।
এমন কিছু খুঁজে বের করুন যা করতে বাচ্চার ভালো লাগে
আমরা যে কাজটা ভালো পারি, সেটাই করতে স্বচ্ছন্দবোধ করি। আপনার বাচ্চার ক্ষেত্রেও হয়তো তেমনটাই হচ্ছে! তার উৎসাহ বাড়ানোর জন্য এমন কিছু খুঁজে বের করুন যা তার ভালো লাগে করতে। কোনও একটা বিষয়ে সফল হলে বা প্রশংসা পেলে বাচ্চা সেই কাজটি আগ্রহ নিয়ে করবে। তাতে মনোযোগ বাড়বে।
বাচ্চা অমনোযোগী হলে তাকে ব্রেক দিন
যখনই দেখবেন যে বাচ্চার পড়ায় মন বসছে না, তখন তাকে না বকে একটা ব্রেক দিন। দশ মিনিট খেলাধুলো করার পর ফের শুরু করুন। মাঝে মাঝে চাপমুক্ত থাকলে কাজে মন বসাতে সুবিধে হয়।
রুটিন সেট করুন
ঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়া, পড়তে বসা, খেলা, রাতে ঘুমনোর একটা রুটিন থাকা উচিত সব ছাত্র-ছাত্রীর। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেটা সেট করুন এবং বাচ্চাকে তা মানতে উৎসাহ দিন। রুটিন মেনে চলার অভ্যেস তৈরি হয়ে গেলে তার মনঃসংযোগও বাড়বে। সে বুঝে যাবে যে একটা নির্দিষ্ট সময়ে তাকে কিছু বিশেষ কাজ করতেই হবে।
প্রত্যেকটা টাস্ককে ছোটো ছোটো ভাগে ভেঙে নিন
একসঙ্গে খুব জটিল কিছু করার দরকার নেই, প্রতিটি কাজকে খুব ছোটো ছোটো ভাগে ভেঙে নিন। একটা একটা করে ধাপ পেরোতে উৎসাহ দিন। প্রতিটি ধাপ নিখুঁতভাবে করার উপর জোর দিন। গোড়ায় ক্লান্তিকর মনে হবে, কিন্তু এই পদ্ধতি খুব কাজের।
পড়াশোনা করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা রাখুন
লেখাপড়া করার একটা ডেস্ক বা কোণ থাকা উচিত। রোজ নিয়ম মেনে সেখানেই পড়তে বসান বাচ্চাকে। সেটাই ক্রমশ তার রুটিন হয়ে উঠবে। একেবারে প্রথম দিনেই হয়তো ফল পাবেন না, কিন্তু ধীরে ধীরে কাজে দেবে এই পদ্ধতি।