অনেকেই মনে করেন যে দুটো বড়ো ‘মিল’-এর মাঝে মুখ চালানোর জন্য ছোটোখাটো কিছু খাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, তাতে বাড়তি ক্যালোরির চাপ এড়ানো যায়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, ব্লাড সুগার লেভেল আর খিদে দুটোই নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জলখাবার বা স্ন্যাক্স খাওয়া একান্ত জরুরি। লাঞ্চের পর সরাসরি ডিনার খেতে গেলে আপনার এতই খিদে পাবে যে বেশি খেয়ে ফেলবেন।
সেই সঙ্গে এটাও ঠিক, বিকেলের পর থেকে আমাদের শরীরের বিপাক ক্রিয়ার হার ক্রমশ মন্দীভূত হতে থাকে। অর্থাৎ দুপুরের পর থেকে ভারী বা ভাজাভুজি জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়। বিকেল হলেই চপ-মুড়ি বা ফুচকা, কচুরি চলবে না। আপনাকে এমন খাবার খেতে হবে যা শরীরে পুষ্টি জোগাবে আবার বাড়তি ক্যালোরির বোঝাও বইতে হবে না।
কী কী করবেন না
লো ফ্যাট, লো সুগার, হাই ফাইবার কনটেন্ট আছে এমন খাবার বাছুন। এড়িয়ে যান বাড়তি তেল, নুন, মশলা। চলবে না সফট ড্রিঙ্কস, কোলা, টেট্রা প্যাকের জ্যুস। বাদাম খেতে পারেন, তবে বাদাম খুব বেশি খেলেও বাড়তি ফ্যাট ঢোকে শরীরে।
কী কী করবেন
কার্বোহাইড্রেট আর প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় রেখে খাবার বাছতে হবে। যেমন ধরুন ডিমসেদ্ধ আর কোনও একটা ফল খেলেন একসঙ্গে। লো ফ্যাট ডেয়ারি বা কোনও বাদামের দুধ খেতে পারেন। ছোলাসেদ্ধ দিয়ে মুড়িমাখা করে খাওয়া যায়। বাড়িতে বানানো আলুকাবলিও মন্দ নয়।
পাঁচটি সেরা স্ন্যাকসের হদিশ
১. ধোকলা বা খান্ডভি
গুজরাতি জলখাবারের কোনও বিকল্প নেই! তা বেসন আর দই দিয়ে বানানো হয় বেশিরভাগ সময়ে। ভাপানো, খেতে ভালো এবং ১০০ গ্রামে ২০০-৩০০ ক্যালোরি মতো থাকে।
২. রুটি আর সেঁকা চিকেন দিয়ে বানানো রোল
একটা পাতলা রুটি নিন, ভুষিসমেত আটায় খানিকটা পালং শাক বাটা মিশিয়ে নিলে ফাইবার কনটেন্ট আরও বাড়বে। এর সঙ্গে অল্প তেলে সেঁকা চিকেন আর স্যালাড নিলেই দারুণ জলখাবার রেডি!
৩. মশলা মুড়ি
নানা ধরনের স্প্রাউটস, ছোলা সেদ্ধ, বাদাম ইত্যাদি দিয়ে মুড়ি মাখুন, দিন ভাজা মশলা, লেবুর রস আর সামান্য সরষের তেল। শীতের দিনে নতুন পেঁয়াজ আর সামান্য সরষের তেল হলে তো কথাই নেই!
৪. ছানা আর ফল
ঘরে পাতা ছানা বা দই আর ফল মিশিয়ে বানান দারুণ ডেজার্ট। উপর থেকে বাদাম ছড়িয়ে নিলেও খুব ভালো লাগবে খেতে।
৫. চিকেন/ এগ স্যালাড
সেদ্ধ চিকেন বা ডিমের সঙ্গে নানা ধরনের সবজি আর লেটুস মেশান। দিন লেবুর রস, নুন, চিনি, মরিচগুঁড়ো দিয়ে তৈরি করে নেওয়া ভিনিগ্রেট। একসঙ্গে ঝাঁকিয়ে নিলেই রেডি আপনার স্যালাড।