আপনার বাড়িতে যদি একটি আভেন-টোস্টার-গ্রিলার থাকে, তা হলে মাছ আর মাংস নিয়ে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাটা খুব সহজ। যদি তা নাও থাকে, তা হলেও কোনও সমস্যা নেই – তাওয়াতেই তা গ্রিল করে নিতে পারবেন!
পমফ্রেট মাছ খেতে ভালোবাসেন না এমন বাঙালি হাতে গোনা। একেবারে রেস্তোরাঁ স্টাইলের তন্দুরি পমফ্রেট বানিয়ে দেখুন না একদিন – বাড়ির সবাই খুব খুশি হবেন! তবে গ্রিলড ফিশ রান্না করার আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। এক নম্বর, মাছ ম্যারিনেট করার সময় খুব সাবধান। লেবুর রস ও দই মাছের গায়ে বেশিক্ষণ থাকলে স্বাদে ফারাক হবে, এবং ফাইবার খুব বেশি নরম হয়ে যাওয়ায় গ্রিল করতে গিয়ে ভেঙেও যেতে পারে। তাই যতটা সময় রেসিপিতে বলে দেওয়া হয়েছে, ততক্ষণই ম্যারিনেট করুন।
ম্যারিনেশনের ফ্লেভার খুব সিম্পল রাখাই ভালো। তা নয়া হলে মাছের নিজস্ব শ্বাদ একেবারে চাপা পড়ে যাবে। স্রেফ রসুন, কাঁচালঙ্কা, তাজা ধনেপাতা বেটে নিয়ে মাছের গায়ে মাখিয়েও রোস্ট করতে পারেন। পমফ্রেট ছাড়াও ভেটকি বা চিংড়ি দিয়েও এই রান্নাটা ট্রাই করতে পারেন।
তন্দুরি পমফ্রেট
উপকরণ
২.৫ টেবিলচামচ আদা-রসুন বাটা
৫ চামচ পাতিলেবুর রস
১ টেবিল চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো
১.৫ চাচামচ নুন
৪টি মাঝারি আকারের গোটা পমফ্রেট মাছ, দু পিঠ চিরে চিরে নিতে হবে
১.৫ চাচামচ জিরে গুঁড়ো
১/৪ চাচামচ কসুরি মেথির গুঁড়ো
১/৪ চাচামচ গরমমশলার গুঁড়ো
৩২০ গ্রাম জল ঝরিয়ে ভালো করে ফেটানো দই
২.৫ টেবিলচামচ সরষের তেল
পদ্ধতি
একটি পাত্রে আদা রসুন বাটা, পাতিলেবুর রস ও লঙ্কাগুঁড়ো, এই তিনটির অর্ধেক অংশ স্বাদ মতো নুন দিয়ে মেশান ও মাছগুলির গায়ে ভালো করে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
আর একটি পাত্রে বাকি আদা-রসুনবাটা, পাতিলেবুর রস ও লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে তার মধ্যে গুঁড়ো মশলা, নুন, দই ও সরষের তেল দিন।
এই মিশ্রণটি এবার পমফ্রেট মাছগুলির গায়ে মাখিয়ে একঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন।
তন্দুর উনুনে মাছ রোস্ট করুন যতক্ষণ না বেশ নরম হচ্ছে।
আভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে প্রথমে ৮মিনিট রোস্ট করুন।
তারপর ২ মিনিট রেখে ২০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে আরও ৩ মিনিট রোস্ট করুন।
কাঁচা পেঁয়াজ ও পুদিনার চাটনি সহযোগে গরম গরম পরিবেশন করুন।