. ফ্রিজ ছাড়া আমাদের কারওই একটা দিনও চলবে না। সারা সপ্তাহের বাজার, বেঁচে যাওয়া রান্না ফ্রিজে তুলে না রাখলে হাত-পা ছড়িয়ে বাঁচা মুশকিল। যাঁদের রোজ অফিসে বা অন্য নানা কাজে বেরোতে হয়, তাঁদের পক্ষে তো সকাল-বিকেল রান্নাঘরে ঢোকা সম্ভব নয় – অগত্যা ফ্রিজই ভরসা।
. কিন্তু ফ্রিজে রাখা খাবার শরীরের জন্য কতটা ভালো? বিশেষ করে আমাদের এই গরম আর আর্দ্র দেশে? আয়ুর্বেদ মতে খাবার রান্না করে বেশিক্ষণ রাখলেই তা তামসিক হয়ে যায়, শরীরের বল না বাড়িয়ে নানা রোগের সৃষ্টি করে বরং। তাই খাবার রান্না করে গরম থাকতে থাকতেই খেয়ে নেওয়া উচিত। খুব বেশি তেল-মশলা দিয়ে কষিয়ে দীর্ঘক্ষণ ধরে পাঁচপদ রাঁধলে রসনা হয়তো তৃপ্ত হয়, কিন্তু তা হজম করতে শরীরের অনেক বেশি সময় লাগে। তাই সহজপাচ্য, হালকা খাবার রান্না করুন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা খেয়ে নিন।
. খাবার রান্না করলে তা সহজে হজম হয়। কিন্তু পাশাপাশি আবার রান্না করার সময়েই আগুনের তাপে আনাজপাতির প্রাকৃতিক ভিটামিন ও খনিজ নষ্ট হয়ে যায়। সেই রান্না আপনি যতবার গরম করবেন, তত তার পুষ্টিগুণও হারাবে। পাশাপাশি রান্নার পর-পরই তো আর কেউ খাবার ফ্রিজে তোলেন না, তা ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়। গরম, আর্দ্র জায়গায় এই সময়ের মধ্যেই খাবারে সংক্রমণ শুরু হয়ে যেতে পারে। সেই খাবার আবার ফ্রিজে দু’ দিন রেখে খেলে আপনার হজমের গোলমাল শুরু হওয়াও বিচিত্র নয়।
. হিসেব করে রান্না করুন – প্রয়োজনের বেশি খাবার তৈরি করার দরকার নেই। সাত-আটদিনের খাবার রেঁধে তো একেবারেই রাখবেন না, কিছু থাকলেও সেটা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে শেষ করে ফেলুন।
. নিয়মিত ফ্রিজ পরিষ্কার করুন। খাবার ঢাকা দিয়ে রাখুন অবশ্যই। ফ্রিজ নোংরা রেখে খাবার বোঝাই করলে কিন্তু আরশোলা বা অন্য পোকামাকড়ের বাসা হবে।
. ফল-সবজিও সাতদিনের বেশি ফ্রিজে রাখবেন না, যে জিনিস গাছ থেকে পাড়ার সাতদিন বাদেও অক্ষত থাকে, তা শরীরই বা হজম করবে কীভাবে?
. রান্নার সময়ে একগাদা জল দেবেন না, তাতে রান্না হতে দেরি হবে, খাবারের পুষ্টিগুণও কমবে।
. সবজি ভাপিয়ে নিয়ে খেলে তার খাদ্যগুণ বেশি হয়।