পেট ভারী লাগা, হাঁসফাঁস একটা অনুভূতির সঙ্গে আমরা অনেকেই খুব পরিচিত। বিশেষ করে যেদিনই হিসেবের বাইরে গিয়ে কিছু খাওয়াদাওয়া হয়ে যায়, সেদিনই মাথাচাড়া দেয় সমস্যাটা। পাচনতন্ত্র যদি কোনও খাবার ঠিকভাবে হজম করতে না পারে, তা হলে বাড়তি গ্যাস তৈরি হয় পেটে। তারই প্রভাবে পেট ফুলে ওঠে, হাঁটাচলায় অসুবিধে হয়।
যাঁরা প্রায়ই ব্লোটিংয়ের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের হয় ক্রনিক হজমের সমস্যা আছে, না হলে তাঁরা এমন কিছু খাচ্ছেন, যা ভাঙতে শরীরের অসুবিধে হচ্ছে। খুব ভালো করে লক্ষ করে দেখুন কোন খাবার থেকে সমস্যা হচ্ছে আপনার। কোনও বিশেষ খাবারে অ্যালার্জি থাকলে কিন্তু তা শরীরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই পেট ফুলতে পারে। আর ক্রনিক হজমের সমস্যা কেন হচ্ছে, তা জানার জন্য ডাক্তার দেখান অবশ্যই।
কখনওই পেট ঠেসে খাবেন না
সব সময়েই পেটে খানিকটা জায়গা ছেড়ে খাবার খান, খুব বেশি খেলে হজমের অসুবিধে হয়, তা থেকে বাড়তি গ্যাস জন্ম নিতে পারে। তাই দরকার হলে বারে বারে খান, কিন্তু সব সময়েই কম পরিমাণে খাবেন।
দুধ, ডিম, আটা ইত্যাদি থেকে সমস্যা হচ্ছে না তো?
বহু মানুষ দুধের ল্যাকটোজ হজম করতে পারেন না, সাধারণত হাই কার্বোহাইড্রেট কনটেন্টযুক্ত ফলেও এঁদের সমস্যা হয়। তাই ডায়েট চার্ট থেকে দুধ বাদ দিয়ে কয়েকদিন দেখুন কী হয়। আম, কাঁঠাল, কলা খেলেও কিন্তু পেট ফুলতে পারে। যখনই সমস্যা হবে, ভেবে দেখুন ঠিক কী খেয়েছিলেন। তার পর এক এক করে সেগুলি বাদ দিয়ে দেখতে হবে। আটার গ্লুটেন থেকেও সমস্যা হতে পারে। ডিম-ও খুব সাধারণ ফুড অ্যালার্জির কারণ।
দুটো মিলের মাঝে বেশিক্ষণের গ্যাপ দেবেন না
খাবার সময়ের ঠিক রাখুন, খুব বেশি দেরিতে খেলে কিন্তু ব্লোটিংয়ের সমস্যা বাড়তেই থাকবে। খেয়ে উঠে সঙ্গে সঙ্গে জল খাওয়াও খুব খারাপ অভ্যেস, তাতে গ্যাসট্রিক জ্যুস আর অ্যাসিড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।
যে খাবারগুলি থেকে সাধারণত গ্যাস হয়, তা থেকে দূরে থাকুন
ডাল, আটা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, আপেল, আদা, রসুন, পেঁয়াজ থেকে গ্যাস হয়। আবার মৌরি, জোয়ান, গোলমরিচ হজমের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। তাই মশলা খান কিন্তু হজমে সমস্যা হয় এমন উপকরণ থেকে দূরে থাকুন।
বেশি মিষ্টি বা কার্বোনেটেড পানীয় চলবে না
অতিরিক্ত চিনি, খুব মিষ্টি ফল, মদ থেকে কিন্তু ব্লোটিংয়ের সমস্যা বাড়ে। এগুলি থেকে দূরে থাকুন বা খুব অল্প পরিমাণে খান।