ঠিক কতটা জল খাওয়াকে ‘প্রচুর’ জল খাওয়া বলে? ডাক্তারদের মতে, আন্দাজ ৬০ কেজি ওজনের একজন সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের ৫ লিটার জল খেলেই চলে। যাঁরা খুব ঘামেন, তাঁরা আর একটু বেশি খেতে পারেন। আপনার প্রস্রাবের দিকে নজর রাখুন। যদি দেখেন প্রস্রাবের রং ঘোর হলুদ, কড়া ঝাঁজ বেরোচ্ছে, তা হলে জল খাওয়া বাড়ান। যাঁদের বার বার ইউরিনারি ট্র্যাক্টে ইনফেকশন হয় বা প্রস্রাব করতে গেলে জ্বালাভাব দেখা যায়, তাঁরা জল বেশি খাবেন।
ঠিক কতটা জল আপনার শরীরের প্রয়োজন, তা বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তেষ্টা। তৃষ্ণা মেটার অর্থ হচ্ছে তখনকার মতো শরীরের চাহিদা ফুরিয়েছে। তাই তেষ্টা পেলে জল তো খাবেন অবশ্যই, সেই সঙ্গে একটা রুটিন বানিয়ে নিন পারলে। খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে ও পরে জল খাওয়া উচিত। ব্যায়াম করার আগে জল খেয়ে নিন ভালো করে। সন্ধের মধ্যে বেশিরভাগ জল খেয়ে নিন, তা না হলে রাতে বাথরুমে উঠতে হবে বারবার।
দরকারের চেয়ে বেশি জল খেলে কিন্তু নানা সমস্যায় পড়বেন। তার মধ্যে প্রথমটা হচ্ছে বার বার বাথরুম যেতে হবে। তাতে ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের সমস্যা বেশি, বিশেষ করে বাড়ির বাইরে – সর্বত্র তো আর ভালো বাথরুম পাওয়া যায় না! তা ছাড়াও অনেক জটিল সমস্যা হতে পারে কিন্তু!
১. কিডনির উপর বাড়তি চাপ পড়ে
কিডনি হচ্ছে আপনার শরীরের নিজস্ব ফিল্টার। তার উপর বাড়তি চাপ ফেললে মুশকিল। কিডনি শেষমেশ ক্লান্ত হয়ে পড়বে! ফিল্টার ঠিকভাবে কাজ না করলে কিন্তু শরীরে ওয়াটার রিটেনশন হবে, অর্থাৎ জল জমে থাকবে।
২. পটাশিয়াম-সোডিয়ামের পরিমাণে ঘাটতি আসবে
অতিরিক্ত মূত্রত্যাগ করলে বেরিয়ে যাবে অতি প্রয়োজনীয় সোডিয়াম আর পটাশিয়াম। ফলে শরীরে লবণের ঘাটতি দেখা দেবে, মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারেন যখন তখন।
৩. বাড়তি জল খেলে ওজন বাড়তে পারে
শরীরে জমে থাকা জলের কারণে আপনার ওজন বেড়ে যেতে পারে। তাই জল খাওয়ার সময় অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই।
৪. ক্র্যাম্প ধরলে বা হাতে পায়ে ব্যথা বাড়লে সতর্ক হোন
অতিরিক্ত জলপানের কারণে আপনার হাতে-পায়ে ক্র্যাম্প ধরতে পারে, গা বমি, মাথা ঘোরা, ব্লাড প্রেশার কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দেয়। তাই আগে ভাগে সতর্ক হোন।