রেস্তোরাঁয় বলুন বা বাড়িতে – ভালো খাবার খাওয়ার আগে একটা ছবি না তুলতে পারলে মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু সবাই ছবি তুললেও কেবলমাত্র দু’ একজনেরটাই দেখতে ভালো হয় — চোখ সরানো যায় না, জিভে জল আসে, খিদে খিদে পায়। কোন ম্যাজিকে এমনটা সম্ভব হয় বলুন তো?
সোশাল মিডিয়ায় দেওয়ার জন্য ঝলমলে ও আকর্ষক ছবি তোলার জন্য আপনাকে ফুড ফোটোগ্রাফির কয়েকটি একেবারে বেসিক বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি করতে হবে।
১. চেষ্টা করুন প্রাকৃতিক আলোয় ছবি তোলার
যে কোনও ছবি, তা সে পোর্ট্রেট হোক বা খাবার, প্রাকৃতিক আলোয় তোলা ছবির মজাই আলাদা হয়! তবে আলো যেন সরাসরি খাবারের প্লেটে না পড়ে সেটা দেখে নেবেন। খুব বড়ো ফ্রেম জুড়ে ছবি তোলার দরকার নেই, কমপ্যাক্ট ফ্রেম দেখতে ভালো লাগে।
২. ফ্রেম সাজাবেন কীভাবে
ছবির ফ্রেম কীভাবে সাজানো হয়, তা আপনি যে কোনও বড়ো শেফ বা হোটেলের ইনস্টা পাতায় চোখ রাখলেই বুঝে যাবেন। ছোটো ছোটো জিনিস দিয়েই চমৎকার সেট আপ তৈরি করা যায়। মাটি, কাঁসা, রুপো বা তামার বাসন, কিছু কুচো ফুল, সবুজ পাতা বা শাক, মশলা, রান্নার নানা উপকরণ, ইন্টারেস্টিং টেবিল ম্যাট নানাভাব সাজিয়ে আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফ্রেম তৈরি করতে পারেন।
৩. পুরো রান্না হয়ে যাওয়া খাবারের ছবি তুলবেন না
খাবার পুরো সেদ্ধ হয়ে গেলে একটু ঘেঁটে যায়, দেখতে ভালো লাগে না একেবারেই। তাই গ্যাদ্গ্যাদে সেদ্ধ না করে রান্না শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে নামিয়ে নিয়ে ছবি তুলুন।
৪. খাবারটা কীভাবে সাজাচ্ছেন তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করে
খাবার খুব সুন্দরভাবে সাজানোর দরকার নেই – দেখতে ইন্টারেস্টিং করে তুলুন। তার টেক্সচারটা যেন স্পষ্ট বোঝা যায় – প্রতিটি উপকরণ আলাদা আলাদা চোখে পড়ে তা দেখতে হবে। সাদা বা অফ হোয়াইট একটু লম্বাটে প্লেটে খাবার রেখে ছবি তুলুন, ভালো দেখাবে। উপরে লঙ্কা, কারিপাতা বা সামান্য একটু ক্রিমগোছের কিছু দিলে যদি ভালো দেখায়, সেটাই দিন।
৫. বাকিটা এডিটিংয়ে সামলাতে হবে
বিশ্বের সেরা ফুড ফোটোগ্রাফারও শেষ ধাপে গিয়ে এডিটিংয়ের সাহায্য নেন – আপনিই বা বাদ যাবেন কেন? প্রচুর ফ্রি এডিটিং সফটওয়্যার পাওয়া যায় ইন্টারনেটে – সেগুলো ক’দিন নাড়াচাড়া করুন – ঠিক বুঝে যাবেন কোনটা আপনার কাজে দেবে।