খিচুড়ি এমন একটি খাবার যা বছরের যে কোনও সময় খাওয়া যায়। পুজো পার্বণে ভোগ নিবেদনের সময় এর উপরই আস্থা রাখেন বহু মানুষ – এ প্রথা চলেও আসছে বহুদিন ধরে। সারা ভারতে নানা ধরনের খিচুড়ি রান্না করা হয় – চাল ছাড়াও ব্যবহার করা হয় সাবু, জোয়ার, বাজরার মতো অন্য নানা দানাশস্য। নানা রকম ডাল ব্যবহারের প্রথাও আছে।
পুষ্টিবিদেরা বলেন, খিচুড়ির মতো পুষ্টিকর খাদ্য অতি বিরল। চাল, ডাল, ঘি এবং নানা আনাজপাতির মিশেলে যে খাদ্যটি তৈরি হয়, তার পুষ্টিগুণ নিয়ে কোনও কথা হবে না। প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, রাফেজ – সব কিছুই আপনি পেয়ে যাবেন একসঙ্গে। আধুনিক নিউট্রিশনিস্টরা তো একে সুপারফুডের মর্যাদা দিয়েছেন! পুজোর পর উপোস ভাঙাই বলুন বা শিশুর প্রথম শক্ত খাবার – সবেতেই এগিয়ে থাকবে তা।
ইতিহাস বলে, মুঘল সম্রাটরাও নাকি খিচুড়ির পরম ভক্ত ছিলেন – হালকা কিছু খেতে মন চাইলে জাহাঙ্গির এটিরই সুপারিশ করতেন। ইবন বতুতার লেখালিখিতেও খিচুড়ির উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে। আপনার প্রিয় রেসিপি তো আছেই, আমরাও তাড়াহুড়োয় রেঁধে ফেলা যায় এমন একটি সুস্বাদু ডিশের হদিশ দিলাম।
সবজির খিচুড়ি
উপকরণ:
১ কাপ সবুজ খোসাসমেত গোটা মুগের ডাল
১/২ কাপ চাল
২টো খোসা ছাড়িয়ে চার টুকরো করে কাটা ছোট আলু
২টো ছোট গাজর আধ ইঞ্চিমাপের টুকরো করে কাটা
১০টা ফ্রেঞ্চ বিন আধ ইঞ্চিমাপের টুকরো করে কাটা
১ কাপ সবুজ কড়াইশুঁটি
১টা মাঝারি ফুলকপির ফুলগুলো আধ ইঞ্চিমাপের টুকরো করা
৪ টেবিলচামচ ঘি
এক চিমটে হিং
২টো চেরা কাঁচালঙ্কা
১ চাচামচ গোটা জিরে
১/২ চাচামচ হলুদ
স্বাদমতো নুন-চিনি
১/২ চাচামচ
গোলমরিচের গুঁড়ো
কয়েক গোছা ধনেপাতা মিহি করে কুচনো
পদ্ধতি:
প্রথমে চাল আর ডালটা খুব ভালো করে ধুয়ে নিন, তার পর চার কাপ জল দিয়ে অন্তত 15 মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখবেন।
জল ঝরিয়ে নিন।
কড়ায় দু’ চামচ ঘি দিয়ে গরম করুন, তার পর হিং, জিরে আর চেরা কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিন।
ফোড়নের সুগন্ধ বেরোলে আলু, ফুলকপি, গাজর, বিনস, কড়াইশুঁটি দিয়ে মিনিট দুয়েক ভাজা ভাজা করে নিন।
তার পর ডাল আর চাল দিয়ে আরও মিনিট দুই নাড়াচাড়া করুন।
এবার চার কাপ গরম জল, নুন, চিনি, হলুদ, গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে ভালো করে ফুটতে দিন।
তার পর চাপা দিয়ে সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। খিচুড়ি একটু মাখা মাখা হবে।
View this post on Instagram
ফোটো: ‘বং ইটস’ ইনস্টাগ্রাম পাতা থেকে