যবে থেকে অতিমারি শুরু হয়েছে, তবে থেকেই আমরা জানি যে শরীরের সার্বিক সুস্থতার জন্য ভিটামিন সি খাওয়া একান্ত জরুরি, তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। তাই হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে নানা ধরনের লেবুর বিক্রি, আমলকীও পিছিয়ে নেই।
এই করতে গিয়ে অনেকেই মরশুমি আনারস বা আমকে পাত্তা দিচ্ছেন না বিশেষ। কিন্তু, প্রকৃতি আমাদের সামনে প্রতিটি ঋতুতে তার সেরা ফসলের উপহার সাজিয়ে দেয় – তার কোনওটাকে অগ্রাহ্য করা উচিত নয়। কোনও বিশেষ ঋতুতে যে সব ফসল ফলে, তার প্রতিটিরই কোনও না কোনও গুণ থাকে, নিজেকে তা থেকে বঞ্চিত করার মানেই হয় না!
পেঁপে, আম, আনারসের মতো পাকা ফলেও আপনি প্রচুর ভিটামিন সি পাবেন, পাশাপাশি এর মধ্যে বায়ো-ফ্লাভোনয়েড নামক এক ধরনের ফাইটোকেমিক্যাল থাকে। তার সৌজন্যে শরীরে ভিটামিন সি-এর পাচন ও শোষণের কাজ সম্পূর্ণ হয়। এই পর্বটা না থাকলে কিন্তু শরীর এই ভিটামিনের পূর্ণ গুণ উপভোগ করতে পারবে না।
আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন, ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখতে ভিটামিন সি খুব গুরুত্বপূর্ণ? সেই সঙ্গে ক্যারোটিনয়েডও দরকার হয় – আর তা পূর্ণ মাত্রায় মেলে হলুদ ফল ও গাজর-কুমড়োর মতো সবজি থেকে।
যে কোনও ভালো অ্যান্টি এজিং বা অ্যান্টি রিঙ্কল ক্রিমে রেটিনল নামের একটি উপাদান থাকে, তা জানেন নিশ্চয়ই? আনারস, আম, পাকা পেঁপে হচ্ছে প্রাকৃতিক রেটিনলের সেরা উৎস। এর ভিটামিন এ১-এর প্রভাবে আপনার ব্রণর সমস্যা কমতে বাধ্য।
জানেন কি?
. আমের ভিটামিন এ আপনার ত্বককে বাঁচায় অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে।
. পাকা কলায় থাকে ভিটামিন এ, বি, সি, ই, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম আর জিঙ্ক। এর অ্যামিনো অ্যাসিড আপনাকে অ্যালার্জির হাত থেকে বাঁচায়, এর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট কমায় প্রদাহ।
. কুমড়োয় প্রচুর ফাইবার থাকে, তা কোলাজেনের উৎপাদন বাড়ায় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
. খালি পেটে পাকা পেঁপে খেলে হজমশক্তি ভালো হয়, ভালো থাকে হার্টের স্বাস্থ্য।
. হলুদ ক্যাপসিকাম বা বেল পেপারে থাকে প্রচুর ফাইবার আর ভিটামিন সি। স্যালাড করে খান ভালো করে ধুয়ে নিয়ে – ত্বক ভালো থাকবে।
মনে রাখবেন
সমস্ত খাবার খাওয়ার পরেও আপনার ভিটামিন সাপ্লিমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে। তবে সে বিষয়ে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন আপনার ডায়েটিশিয়ান বা চিকিৎসক।