টিফিনে খাওয়ার জন্য স্যান্ডউইচের চেয়ে ভালো অপশন খুব কম আছে। এক তো তৈরি করতে তেমন পরিশ্রম হয় না, তার উপর ভিতরের পুর হিসেবে আপনি অনেক ধরনের কম্বিনেশন ট্রাই করতে পারেন।
হ্যাম, সসেজ, সালামি দিয়ে যেমন শৌখিন স্যান্ডউইচ হয়, তেমনই আবার আগের রাতের বেঁচে যাওয়া মাংস, মাছ, তরকারি, কেটে যাওয়া দুধের ছানা বা দইও কিন্তু ভালো রাঁধুনি হাতের ভেলকি দেখাতে পারেন।
আপনার স্যান্ডউইচ কি শক্ত হয়ে যায়? পাউরুটি নরম রাখার কয়েকটি পদ্ধতি আছে, সেগুলি জানেন তো? সাধারণত আমরা বাঙালিরা পাউরুটি হালকা করে সেঁকে স্যান্ডউইচ তৈরি করতে পছন্দ করি, সেক্ষেত্রে সেঁকা রুটিতে তখনই অল্প মাখন মাখিয়ে নিতে হবে।
যাঁরা অফিসের লাঞ্চটাইমে খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে স্যান্ডউইচ বানিয়ে নিয়ে যান, তাঁরা পারলে পাউরুটির ধারটা কেটে বাদ দিন – এই জায়গাটা শক্ত হয় তাড়াতাড়ি।
কড়া সেঁকা রুটি দিয়ে তৈরি স্যান্ডউইচ তাজা খেতেই মজা বেশি। স্যান্ডউইচ বানানোর পর ক্লিং ফিল্ম বা ঈষৎ স্যাঁতসেঁতে সুতির রুমালে মুড়ে রাখুন, পাউরুটি আর্দ্রতা হারাবে না। এয়ারটাইট পাত্রে ভরে রাখতে পারেন, তাতেও এক ফল মিলবে।
স্যান্ডউইচের পুর তৈরির পর তা হোয়াইট সস, মেয়োনিজ বা কাসুন্দি মাখিয়ে নিলে অনেকক্ষণ শুকনো হয় না। হোয়াইট সস বা মেয়োনিজ বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায়। আর একটা দারুণ সহজ স্প্রেড তৈরি করা যায় বাড়িতে পাতা দই দিয়ে। দইটা আগের রাতে ছাঁকনি বা পাতলা কোনও পরিষ্কার কাপড়ের টুকরোয় রেখে জল ঝরিয়ে নিতে হবে।
শুকনো দইয়ের মধ্যে মিহি কুচনো রসুন আর পার্সলে পাতার কুচি দিতে পারেন, সামান্য সরষের গুঁড়ো বা ট্যাবাসকো সস দিলে আবার অন্যরকম তার আসবে।
গ্রেটারে শসা আর গাজর কুরে চিপে জল ফেলে দিন। তার পর জল ঝরানো দইয়ের মধ্যে রসুনকুচি সহ মেশান। অন্য পাত্রে ডিম সেদ্ধ, কাসুন্দি আর গ্রেট করা চিজ মিশিয়ে নিন। এবার এই দুই পুর মাঝে রেখে সাদা আর ব্রাউন রুটি অল্টারনেট করে সাজান – দারুণ ক্লাব স্যান্ডউইচ তৈরি হয়ে যাবে।
যাঁরা রোজের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমাতে চাইছেন, তাঁরা এক টুকরো পাউরুটির উপর বেশি করে পুর দিয়ে খেতে পারেন – পোশাকি পরিভাষায় তার নাম ওপেন টোস্ট। সঙ্গে একটি দারুণ স্বাদু ও ফ্যান্সি রেসিপি রইল।
অ্যাভোকাডো এখন অনেক জায়গাতেই কিনতে পাওয়া যায়, একান্ত না পেলেও বাকি উপকরণগুলি দিয়ে রান্নাটা ট্রাই করুন – খেতে ভালোই লাগবে।
অ্যাভোকাডো, সবজি আর ডিম স্যান্ডউইচ
শেফ জগদীশ পুরুষোত্তম, এগজিকিউটিভ কালিনারি শেফ, এপিসিএ, বেঙ্গালুরু
উপকরণ
২টি – অ্যাভোকাডো
১টি – গুছি আইসবার্গ লেটুস
১টি – বড়ো চামচ অলিভ অয়েল
৪টি – সেদ্ধ ডিম
১টি – লাল ক্যাপসিকাম সেঁকে নিন
১টি – পেঁয়াজকুচি
২টি – টোম্যাটো
১টি – পাতিলেবু
৫০ গ্রাম – ধনেপাতা
স্বাদ অনুযায়ী নুন – গোলমরিচ
১টি – বড়ো চামচ ভালো মাস্টার্ড বা কাসুন্দি
পাউরুটি
পদ্ধতি
অ্যাভোকাডো কেটে তার শাঁস বের করে নিন, তার পর নুন-মরিচ মিশিয়ে কাঁটাচামচ দিয়ে মেখে নিন ভালো করে।
এর মধ্যে ধনেপাতা, টোম্যাটো, পেঁয়াজ, রসুনের কুচি ভালো করে মিশিয়ে নিন।
লেবুর রস দিন, দরকারে আরও একটু নুন-মরিচ বা সামান্য চিনি দিতে পারেন।
ফ্রাইং প্যানে অলিভ অয়েলের ছিটে দিয়ে পাউরুটি সেঁকে নিন।
তার উপর আইসবার্গ লেটুস, শসা আর অ্যাভোকাডো দিয়ে তিনটে লেয়ার তৈরি করে নিন।
এর উপর সেঁকে খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া ক্যাপসিকামের টুকরো আর ডিম সেদ্ধ স্লাইস করে কেটে রাখুন।
দরকারে উপর থেকে একটু অলিভ অয়েল ছড়িয়ে দিয়ে খান।