অনেকেই ভাবছেন, চারপাশে যখন মারণ ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত, তখন স্যালাড খাওয়া কি উচিত হবে? তবে যদি ভালো করে গরমজলে ধুয়ে বা সামান্য ভাপিয়ে নেওয়া সবজি দিয়ে স্যালাড তৈরি করেন, তা হলে খেতে কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। তবে এখন বাইরে স্যালাড খেতে আমরা বারণই করব।
বাড়িতেই দারুণ ভালো ভিনিগ্রেট তৈরি করে নেওয়া যায়, তাতে স্যালাডের স্বাদও খোলতাই হবে। স্যালাড মানেই অনেকটা রাফেজ। তাতে পেট ভরা থাকবে বেশিক্ষণ। ফল দিয়ে বানাতে পারেন ফ্রুট স্যালাড। ডিম, চিকেন বা মাছ, স্প্রাউটস আর সবজি দিয়েও সুন্দর পদ বানিয়ে নিতে পারেন।
স্যালাডে অনেকে কিনওয়া, ওটস, দালিয়ার মতো কার্বোহাইড্রেট যোগ করে দেন। তাতে আর কিছু না খেলেও চলে – একটি পদ থেকেই আপনি পুরো পুষ্টি পেয়ে যাবেন। সেদ্ধ ন্যুডলসও মেশানো যায়। বা সঙ্গে একপিস টোস্ট খেতে পারেন।
স্যালাড তাজা খাওয়াই সবচেয়ে ভালো। এয়ারটাইট পাত্রে বা ফ্রিজে রাখলেও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খেয়ে নিতে হবে। তেল-মশলা যে কোনও রান্নাকে বেশিক্ষণ ভালো রাখে। কাঁচা বা সেদ্ধ খাবার কিন্তু তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়।
গ্রিক স্যালাড
শেফ চার্লস জয়কুমার (কালিনারি শেফ, এপিসিএ, বেঙ্গালুরু)
উপকরণ
১টি শসা
২টি টোম্যাটো
১টি পেঁয়াজ
১টি করে লাল, হলুদ আর সবুজ ক্যাপসিকাম
১০০ গ্রাম আরুগুলা (না পেলে বাদ দিন)/ লেটুস
২৫ গ্রাম সবুজ অলিভ
২৫ গ্রাম কালো অলিভ
৫০ মিলি অলিভ অয়েল
১টি পাতিলেবু
৫০ মিলি রেড ওয়াইন ভিনিগার
৫০ গ্রাম ফেটা চিজ
স্বাদ অনুযায়ী নুন মরিচ
পদ্ধতি
লাল পেঁয়াজ টুকরো করে ছোটো বাটিতে নিন। তার মধ্যে দিন অর্ধেক রেড ওয়াইন ভিনিগার।
মিনিট ১৫ পরে ভিনিগারটা ফেলে দিন।
লেটুস বা আরুগুলা, ক্যাপসিকাম, শসা, টোম্যাটো, পেঁয়াজ যোগ করুন একে একে।
মাঝারি আকারের বাটিতে বাকি রেড ওয়াইন ভিনিগার, লেবুর রস, ডিজোন মাস্টার্ড, রসুনকুচি, অরিগ্যানো, নুন, মরিচ মিশিয়ে দিন।
এবার আপনার একটা হুইস্ক লাগবে। এই মিশ্রণে ধীরে ধীরে অলিভ অয়েল যোগ করুন, সঙ্গে সমানে হুইস্ক দিয়ে নাড়তে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনার ড্রেসিং গাঢ় হয়ে যাবে।
এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। দরকারে আরও নুন-মরিচ মেশান।
একেবারে শেষে অলিভ আর ফেটা চিজ দিয়ে পরিবেশন করুন।