একটা কথা সব সময় খেয়াল রাখবেন, ফিশ ফ্রাই বানানোর জন্য সেরা মাছ হচ্ছে ভেটকি। পুজোর আশপাশের সময় থেকে বাজারে চমৎকার ভেটকি উঠতে আরম্ভ করে। তাজা মাছের ফিলে কাটিয়ে নিন, কাঁটা আর তেলটা ফেলবেন না, বাড়ি আনুন। তরিবত করে মুড়িঘণ্ট আর কাঁটাচচ্চড়ি বানিয়ে খাওয়া যাবে পরে।
কলকাতা ভেটকির চেয়ে বম্বে ভেটকি, ভোলা বা বাসার দাম নিশ্চিতভাবেই কম, তবে স্বাদের দিক থেকে পার্থক্য আকাশ-পাতাল। এই মাছগুলির ম্যারিনেশনের সময় একটু বেশি করে রসুন দেবেন, তবে স্বাদ খুলবে। অনেকে ফ্রাইয়ের ম্যারিনেশনে ধনেপাতা, পুদিনাপাতা বা তাজা পার্সলে ব্যবহার করেন, তার স্বাদও নিঃসন্দেহে ভালো হয়।
প্যানকো ব্রেডক্রাম্বে ফ্রাই সবচেয়ে মুচমুচে হয়, তা না পেলে সাধারণ বিস্কিটের গুঁড়ো কিনুন। বাসি পাউরুটি খটখটে টোস্ট করে নিয়ে গুঁড়ো করে নিলেও দারুণ ব্রেডক্রাম্ব মিলবে।
উপকরণ
২০০ গ্রাম মাছের ফিলে
৫০০ মিলি দুধ
১টি ডিমের সাদা অংশ
১৫০ গ্রাম ময়দা
৩০ গ্রাম কর্ন ফ্লাওয়ার
৭ গ্রাম রসুনের গুঁড়ো
২০০ গ্রাম প্যানকো ক্রাম্ব
৫ গ্রাম লঙ্কার ফ্লেক্স
২৫০ মিলি সূর্যমুখি তেল
স্বাদ অনুযায়ী নুন
স্বাদ অনুযায়ী সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো
হনি–মাস্টার্ড ডিপের জন্য চাই
২৫ মিলি ইংলিশ মাস্টার্ড
২৫ মিলি বেঙ্গল মাস্টার্ড
১০ মিলি মধু
১৫ মিলি ক্রিম
স্বাদ অনুযায়ী সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো
প্রয়োজন অনুযায়ী পার্সলে পাতা কুচি
পদ্ধতি
মাছের ফিলেগুলিকে লম্বা লম্বা স্লাইসে কেটে নিন, প্রতিটি টুকরো যেন আন্দাজ ৩০ গ্রাম মতো হয়৷
আলাদা একটা পাত্রে ডিমের সাদা অংশ আর দুধ মিশিয়ে নিন একটা হুইস্ক দিয়ে৷
একটি ট্রে-র মধ্যে কর্নফ্লাওয়ার, রসুনের পাউডার, নুন আর সাদা গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন ভালো করে৷
আর একটা পাত্রে প্যানকো ব্রেড ক্রাম্ব আর চিলি ফ্লেক্স মেশান৷
প্রথমে ময়দা আর মশলার মিশ্রণে মাছের টুকরোগুলোকে গড়িয়ে নিন৷
বাড়তি ময়দাটা ঝেড়ে ফেলুন৷
তার পর ডিম-দুধের মিশ্রণে সেটাকে ডোবান৷
একেবারে শেষে প্যানকো ব্রেড ক্রাম্বের মিশ্রণে ডুবিয়ে নিন৷
একটা শুকনো প্লেটে এই পিসগুলিকে রেখে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন অন্তত দু’ ঘণ্টার জন্য৷
ভাজার আগে তেলটা ভালো করে গরম করে নেবেন৷
তার পর ডুবো তেলে সোনালি করে ভেজে তুলে টিস্যু পেপারে রেখে তেল ঝরিয়ে নিন৷
হনি মাস্টার্ড ডিপের সব উপকরণ আগেই মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দেবেন৷
দুটো একসঙ্গে সাজিয়ে পরিবেশন করুন৷