বাঙালির খুব ট্র্যাডিশনাল কিছু রান্না আছে, যার নাম শুনলেই ঘাম ছুটে যায়! মনে হয়, উফ বাবা, এ জিনিস জীবনেও বাড়িতে বানানো সম্ভব নয়! ডাব চিংড়ি তার মধ্যেই একটি পদ।
গরমকালে ডাব পাওয়া সহজ, চমৎকার শাঁসও হয় তাতে – তার জোরেই ডাব চিংড়ির স্বাদ খোলতাই হয়। পয়লা বৈশাখের আশপাশের সময়ে দেদার ভিড় থাকে রেস্তোরাঁয়, কিন্তু এবার যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে বাইরে খেতে যাওয়া বিপজ্জনক।
তাই বলে কি কবজি ডুবিয়ে খাওয়া ছেড়ে দেবেন? মোটেই না! বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন দারুণ সুস্বাদু ডাব চিংড়ি – স্রেফ আমাদের টিপস মেনে।
ডাব চিংড়ি
কী কী লাগবে
৫ পিস বড়ো আকারের চিংড়িমাছ
১/২ কাপ পেঁয়াজ বাটা
১টি কচি ডাবের শাঁস বের করে ডাবের জল দিয়ে বেটে নিন
২ টেবিলচামচ সরষের তেল
১ টেবিলচামচ আদা-রসুনবাটা
১ চাচামচ গরমমশলার গুঁড়ো
১ চাচামচ চিনি
১ চাচামচ অথবা স্বাদ অনুযায়ী নুন
১/২ কাপ নারকেলের দুধ
১/২ কাপ উষ্ণ জল
খানিকটা ভালো ঘি
১ বা ২ চিমটে গরম মশলার গুঁড়ো একেবারে শেষে ব্যবহারের জন্য
কীভাবে রান্না করবেন
যেহেতু ডাবের মধ্যেই রান্নাটি পরিবেশিত হবে, তাই তলা আর মাথার দিকটা কেটে নিন প্রথমে। মুখের দিকটা এমনভাবে কাটতে হবে, যাতে রান্না করার পর চিংড়ি মাছ ভরে রাখা যায়। নিচটা এমনভাবে কাটুন যেন সোজাভাবে টেবিলে বসানো যায়।
এই রান্নাটা কিন্তু বাগদা চিংড়ি দিয়ে সবচেয়ে ভালো হবে, চিংড়ির পিঠের ময়লাটা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়াটা খুব জরুরি। তার পর নুন-হলুদ মাখিয়ে নিন নিয়মমতো।
গ্যাসে কড়া চাপান। গরম হয়ে গেলে তেলটা দিন। তেল গরম হয়ে ধোঁয়া ছাড়তে আরম্ভ করলে তার মধ্যে দিয়ে দিন পেঁয়াজবাটা।
মিনিট দুয়েক পেঁয়াজটা ভালো করে ভেজে নিন। চিংড়িমাছ ছাড়ুন। ভালো করে কষতে হবে মশলার সঙ্গে।
মাছের গায়ে গোলাপি রং ধরলে আদা-রসুনবাটাটা ছেড়ে দিন। সেই সঙ্গে দিন গরমমশলা, নুন-চিনি। কষতে থাকুন।
পাঁচ মিনিট পর নারকেলের দুধ আর গরম জলটা ঢেলে দিন রান্নায়। ভালো করে কষে ফুটতে দিন।
পাত্রটি ঢাকা দিয়ে রেখে দিন আরও পাঁচ-সাত মিনিট। জল মরে এলে একেবারে শেষ নারকেলের শাঁসবাটা দিন।
ফুটে উঠলে ঘি, এক চিমটে গরমমশলা দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
এবার সাবধানে সবটা নারকেলের খোলের মধ্যে রাখ্যানে। গরম গরম পরিবেশন করুন পোলাও বা সাদা ভাতের সঙ্গে।
রেসিপি – হোটেল কেনিলওয়ার্থ