আপনি কফি ভালোবাসেন? বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা মারতে প্রায়ই কোনও ক্যাফেতে গিয়ে বসতে ভালো লাগে? কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, মেনুকার্ড পড়ে বুঝতে পারেন না যে কোন কফিটা কেমন খেতে হবে, তাই তো? আপনার সমস্যা খুব জটিল নয় মোটেই এবং কেবল আপনি একা নন, বহু মানুষ এ সমস্যায় ভোগেন। সকলেরই কাজে আসবে আমাদের গাইডলাইন।
প্রথমেই জেনে রাখুন, কফি বিনের বিচারে বাজারে মেলে মোট দুই ধরনের প্রডাক্ট। অ্যারাবিকা ও রোবাস্টা। সাধারণত বাড়িতে আমরা যে ইনস্ট্যান্ট কফি খাই, সেটা রোবাস্টা বিন থেকেই তৈরি হয়। এর ক্যাফেইন কনটেন্ট হাই, দামও কম। ফলে শস্তায় কড়া কফি পেতে চাইলে রোবাস্টা বিনই ভরসা। অ্যারাবিকা কিন্তু উঁচু জাতের, স্বাদও ভালো। যাঁরা কালো কফির ভক্ত, তাঁরা অ্যারাবিকা বিন ব্যবহার করেই কফি তৈরি করেন। ক্যাফেইনের পরিমাণ কম হওয়ায় দুধ বা ক্রিম না মিশিয়েই অ্যারাবিকা খাওয়া যায়।
কফি কীভাবে বানানো ও পরিবেশন করা হচ্ছে, তার উপর ভিত্তি করে স্বাদে পার্থক্য আসে।
ব্ল্যাক – সব চাইতে ভালো মানের কফি দিয়ে ব্ল্যাক কফি বানানো হয়। চিনি, দুধ কিছুই মেশানো হয় না সনাতন ব্ল্যাক কফিতে – কফি বিনের গুঁড়ো জলে ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেই তা তৈরি হয়ে যায়। café noir-ও বলা হয়।
কাফে লাতে – কালো কফির উপর ফেটিয়ে ফেনা তোলা দুধ ঢেলে নিলেই রেডি কাফে লাতে। এই ধরনের কফিই সব চাইতে জনপ্রিয়।
ক্যাপুচিনো – ক্যাপুচিনো হচ্ছে কাফে লাতেরই একটি ভ্যারিয়েশন, এতে দুধের চাইতে বেশি ফেনা যোগ করা হয়। উপরে ফোমের মোটা পরত দেখে ক্যাপুচিনো চেনা যায়। ফোমের উপর সামান্য চকোলেট বা দারচিনির গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেকে স্রেফ দুধের বদলে দুধ আর ক্রিমের মিশ্রণ ব্যবহার করেন।
কাফে আমেরিকানো – ব্ল্যাক কফির একটি ভ্যারিয়েশন। প্রথমে কালো কফি বানিয়ে নিন, তার পর উপর থেকে গরম জল ঢেলে নিলেই রেডি!
কাফে মোকা – এক ভাগ এসপ্রেসো বা কালো কফি, এক ভাগ ডার্ক চকোলেট আর এক ভাগ দুধ দিয়ে তৈরি হয় কাফে মোকা। যাঁরা চকোলেট ড্রিঙ্ক ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এটি আদর্শ।
অ্যাফাগাতো – আইসক্রিম + কালো কফি = আফাগাতো। কখনও কখনও এর সঙ্গে ব্রাউনিও দেওয়া হয়।
আইসড কফি – কালো কফি, ঠান্ডা দুধ আর বরফ একসঙ্গে মিক্সিতে মিশিয়ে নিয়ে তৈরি হয় আইসড বা কোল্ড কফি।
কোল্ড ব্রু – এইটি হচ্ছে কফির দুনিয়ায় সব চাইতে ট্রেন্ডিং বস্তু। কফি বিন জলে ভিজিয়ে রেখে কোল্ড ব্রু তৈরি হয়। ৬-৩৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা যায় – আপনি কতটা কড়া লিকার চান, তার উপর নির্ভর করে ভেজাতে হবে। তার পর ছেঁকে কালো খেতে পারেন, ঠান্ডা দুধ বা বরফও মেশানো যায়।