ঋতুভেদে বদলে ফেলতে হয় খাওয়াদাওয়া, তবেই শরীর সর্বাধিক পুষ্টি পায়। এই শীতের দিনে বাজার আলো করে আছে নানা রঙের ফল আর শাকসবজি, তার কোনটার কী গুণ জেনে নিন।
আপেল
আপেলের ফাইবার আর ভিটামিন সি হচ্ছে আপনার সবচাইতে বড়ো বন্ধু। বিশেষ করে যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাঁরা নিয়মিত আপেল খেতে ভুলবেন না। স্ন্যাক্স হিসেবে ভাজাভুজি না খেয়ে আপেল খান, এর ফ্ল্যাভিনয়েড আর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট আপনার ইমিউনিটি বাড়াবে।
কমলালেবু
কমলালেবু দেখতে আর খেতে যতটা ভালো, ঠিক ততটাই পুষ্টিকরও বটে। এর ভিটামিন সি আপনার ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশির আশঙ্কা কমাবে। মনে রাখবেন, আমাদের শরীর কিন্তু নিজে থেকে ভিটামিন সি তৈরি করতে পারে না। তা খাবারের মাধ্যমেই গ্রহণ করতে হবে আপনাকে। আর শীতের তাজা কমলায় মিলবে প্রচুর ফাইবার, বাড়বে মেটাবলিজম। যাঁদের বয়স হয়েছে বা হার্টের সমস্যা আছে, কমলালেবু তাঁদের জন্যেও খুব ভালো।
বেদানা
বেদানায় পলিফেনল নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডান্টের উপস্থিতি আছে — শরীরে টিউমার গজায় যে কোষগুলি, তার বিনাশ ঘটে এই যৌগের কারণে। অ্যান্টিঅক্সিডান্টের জন্য নিয়ন্ত্রণে থাকে ফ্রি র্যাডিকালস। তা ছাড়া এর ফাইবার হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
স্ট্রবেরি
ভিটামিন সি ও প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডান্ট থাকে স্ট্রবেরিতে। রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এই ফল উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।
পালং / মেথি / সরষে / বাথুয়া ইত্যাদি শাক
যে কোনও সবুজ শাকে থাকে ক্যারোটিনয়েডস ও প্রচুর ফাইবার। লুটেইন, জেজ্যানথিনের মতো ক্যারোটিনয়েড চোখের জ্যোতি বাড়ায়। এর মধ্যে প্রচুর আয়রনও থাকে। তবে শাক অবশ্যই ভালো করে ধুয়ে তবেই রান্না করবেন, আর খুব বেশিক্ষণ ধরে চড়া আঁচে রাখলে কিন্তু তা পুষ্টিগুণ হারাবে – এ কথা মনে রাখবেন।
বাঁধাকপি
বাঁধাকপির ভিটামিন কে আর অ্যান্থোসায়ানিন বাড়ায় মনঃসংযোগের ক্ষমতা। যাঁরা ওজন কমানোর চেষ্টায় আছেন, তাঁরা অবশ্যই এই লো ফ্যাট, হাই ফাইবার সবজিটি রাখুন রোজের খাদ্যতালিকায়।
বিট-গাজর
ব্লাড প্রেশার কমাতে ও শরীরে প্রয়োজনীয় এনার্জি জোগাতে বিটের তুল্য কেউ নেই। আর গাজরের ভিটামিন এ, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডান্টের উপকার নিয়ে তো নতুন করে কিছু বলার নেই।
কড়াইশুঁটি
কড়াইশুঁটিতে ফাইবার আর প্রোটিন দুই-ই মিলবে। পেট ভরিয়ে রাখতে ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে তা অতি গুরুত্বপূর্ণ।