অতিমারির শুরুতেও বোঝা যায়নি যে এই হারে বর্জ্য, বিশেষ করে নন-বায়োডিগ্রেডেবল বর্জ্য তৈরি হতে পারে কোভিডের কারণে। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে রোজ রাশি রাশি পিপিই কিট, গ্লাভস, মাস্কের ব্যবহার হচ্ছে গোটা দুনিয়ায়, আর তা জমা হচ্ছে আস্তাকুঁড়ে, আর পাঁচটা জঞ্জালের সঙ্গে। যেখানে সেখানে মাস্ক বা গ্লাভস ব্যবহার করে ফেলে দিচ্ছেন অনেকেই, নিয়মিত সমুদ্রের তলা থেকেও পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি। ফলে মাটি-জল দুইই দূষিত হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়েছিল, কোভিড বর্জ্যকে বায়ো মেডিকাল বর্জ্য হিসেবে ধরতে হবে এবং তা নষ্ট করে ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। কোভিড আক্রান্তের ব্যবহার করা মাস্ক বা গ্লাভস অসতর্কভাবে ছুঁয়ে ফেললে কিন্তু সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। তা যদি জলের উৎসের সঙ্গে মেশে, তা হলে জলবাহিত হয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে আরও বেশি মানুষের মধ্যে।
যদি আপনি বা কোনও পরিচিত কোভিড আক্রান্ত হন তা হলে ব্যবহৃত টিস্যু, মাস্ক বা গ্লাভস ফেলার সময়ে বাড়তি সতর্ক থাকুন। প্লাস্টিকে মুড়ে আলাদা করে তা ফেলতে হবে এবং স্থানীয় স্তরে যাঁরা কোভিড ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের পরামর্শ নিয়ে তবেই নির্দিষ্ট বিনে রাখা উচিত। কখনওই আপনার রোজের আনাজ-সবজির খোসা, খাবারের উদ্বৃত্ত ইত্যাদির সঙ্গে কোভিড বর্জ্য মিশিয়ে ফেলবেন না।
কোভিড রোগীর বর্জ্য ফেলার আগে অন্তত ৭২ ঘণ্টা তা রাখুন ঢাকা ডাস্টবিনে। কাগজে মুড়ে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়। আপনি যদি কোনও হটস্পট বা কন্টেন্মেন্ট জোনের বাসিন্দা হন, তা হলে বর্জ্য ফেলার আগে তা ব্লিচিং সলিউশনে ডুবিয়ে জীবাণুমুক্ত করে নিন।
মনে রাখবেন, আমরা যে সব ময়লা বাড়ির বাইরে বের করে দিই, তার অনেকটাই গিয়ে জমা হয় বড়ো কোনও আস্তাকুঁড়ে। সেখানে আবার জঞ্জাল প্রক্রিয়াকরণের কাজ হয়। তখন খালি হাতেই অনেক মানুষ সেই ময়লা ধরেন। না জেনে যেন কেউ বিপদের মুখোমুখি না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে আমাদের।
লকডাউন শিথিল হওয়ার পর থেকে বেড়েছে বাইরে বেরনো। শপিং মল, সিনামে হল বা কাছে-পিঠে ঘুরে আস্তে যাচ্ছেন অনেকেই। যেখানেই যান না কেন, মাস্ক বা গ্লাভস ফেলে আসবেন না কোথাওই। ড্রপলেট জমা হয় বলে একটা মাস্ক বেশিক্ষণ ব্যবহার করা যায় না, বিশ্রি গন্ধ বেরোতে আরম্ভ করে। সেক্ষেত্রে মাস্ক বদলে নিন, কিন্তু পুরোনোটি যত্ন করে মুড়ে ফেরত নিয়ে আসুন।