কোভিড সংক্রমণের হার রোজ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। যে সব বিজ্ঞানীরা এই অতিমারির গাণিতিক মডেল নিয়ে কাজ করছেন তাঁদের বক্তব্য, যত কেস রিপোর্টেড হচ্ছে, আসল সংক্রমণের সংখ্যা তার চাইতে অন্ততপক্ষে ২৫ শতাংশ বেশি! হাসপাতালে বেড নেই, অতএব উপসর্গ কম হলে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে রোগীকে।
কিন্তু আইসোলেশনে থাকারও নির্দিষ্ট কতগুলি নিয়ম আছে, তা মানতেই হবে। একমাত্র তা হলেই ঠেকানো যাবে সংক্রমণের জোয়ার। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশ করেছে একগুচ্ছ নির্দেশিকা।
. রোগীর বয়স ৬০ বছরের বেশি হলে তাঁকে বাড়িতে রাখার জন্য মেডিক্যাল অফিসারের অনুমতি লাগবে। যাঁদের হাইপারটেনশন, কিডনি/ ফুসফুস/ লিভার/ হার্ট-এর সমস্যা আছে তাঁদেরও বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেওয়ার আগে চিকিৎসক মেডিক্যাল অফিসার বা নজরদারি দলকে জানিয়ে রাখবেন। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমলে এঁদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে হতে পারে।
. বাড়িতে থাকাকালীন অহেতুক স্টেরয়েড দেওয়া যাবে না। টানা সাতদিন জ্বর আর কাশি দুটোই থাকলে হালকা কোনও স্টেরয়েড দেওয়া যেতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড নেবেন না, তাতে অনেক জটিলতা হয়। রেমডেসিভির দেওয়া যাবে না বাড়িতে – সে ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে।
. দিনে দুবার গরমজলে গার্গল করুন, স্টিম নেওয়া যাবে দু’বার।
. ৬৫০ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল দিনে চারবার খাওয়া যায়। তাতেও জ্বর না কমলে ডাক্তারকে জানাতে হবে। তিনি ওষুধ বদলে দিতে পারেন।
. কোভিড পজিটিভ হওয়ার পরেও যাঁর কোনও উপসর্গ নেই এবং রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ বা তার বেশি, তাঁকে উপসর্গহীন বলা যেতে পারে। যাঁদের জ্বর-কাশি-শ্বাসযন্ত্রের উপরের দিকে সামান্য সংক্রমণ থাকলেও ঘরে স্বাভাবিক অবস্থায় অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৪, তাঁদের মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগী বলা হবে।
. হোম আইসোলেশনের অনুমতি দেওয়ার আগে মেডিক্যাল অফিসার রোগীর অবস্থা সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেবেন। যাঁদের ক্যানসার, এইচআইভি-র মতো কোনও সমস্যা আছে, তাঁদের হোম আইসোলেশনে রাখা যাবে না।
. রোগীর কেয়ারগিভার ডাক্তারের পরামর্শে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খাবেন। কেয়ারগিভারের সঙ্গেই যোগাযোগ থাকবে মেডিক্যাল অফিসারের।
. আইসোলেশন চলাকালীন রোগী ঘরের মধ্যেই থাকবেন। বয়স্ক বা কো-মর্বিডিটি আছে এমন সব সদস্যের থেকে রোগীকে দূরে রাখতে হবে।
. রোগীর বার বার জল ও অন্য তরল খাওয়া বাধ্যতামূলক।
. ১০ দিনের আগে আইসোলেশন থেকে বেরনো যাবে না – বেরনোর আগে তিনদিন জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা যেন না থাকে তা নিশ্চিত করুন।
. ১০ দিন পর রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ বোধ করলে আর কোভিড পরীক্ষা করার দরকার নেই।