এক এক করে বিধিনিষেধ উঠছে, পাশাপাশি তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে নেওয়া হচ্ছে আগাম সতর্কতাও। ভিন রাজ্য থেকে যাঁরা আকাশপথে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি এয়ারপোর্ট – কলকাতা, বাগডোগরা বা অণ্ডালে এসে নামবেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে, তাঁদের সঙ্গে কয়েকটি নথি থাকা বাধ্যতামূলক।
হয় তাঁর ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নেওয়ার প্রমাণ থাকতে হবে। নতুবা রওনা হওয়ার একদিন আগের আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপোর্ট চাই। যাঁদের টিকা নেওয়া হয়নি, বা একটি ডোজ নেওয়া হয়েছে, তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে নেগেটিভ আরটিপিসিআর রিপোর্ট সঙ্গে রাখতে হবে – তা একদিনের বেশি পুরোনো হলেও চলবে না।
যাঁরা ভিন রাজ্য থেকে এসে সরাসরি দার্জিলিং, দীঘা, শান্তিনিকেতন বা উত্তরবঙ্গের অন্য কোথাও যেতে চান, তাঁরা এয়ারপোর্ট থেকে বেরনোর পরেও নানা চেকিংয়ের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। প্রায় সব জেলাই কোভিড ঠেকাতে কড়াভাবে বহিরাগতদের কাগজপত্র চেক করার ব্যবস্থা রেখেছে নাকাগুলিতে। যে কোনও সময়ে গাড়ি থামিয়ে নথি চাইতে পারে পুলিশ ও প্রশাসন।
এতদিন পর্যন্ত যাঁদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে, তাঁরাও ভিন রাজ্য থেকে বঙ্গে এলে নেগেটিভ আরটিপিসিআর রিপোর্ট জমা দিতে হত এয়ারপোর্টে। সমস্যা হচ্ছে, আরটিপিসিআর এক বা বড়োজোর দু’দিনের পুরোনো হলে আর গ্রাহ্য করা হত না। তাই যাঁরা মাঝে মাঝেই কার্যসূত্রে এ শহরে আসেন, তাঁদের যাতায়াত প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
অত নিয়ম মেনে আরটিপিসিআর রিপোর্ট হাতে আসে না সব সময়ে এ কথা ভুক্তভোগী মাত্রেই জানেন। এ ক্ষেত্রে টিকাকরণ হয়ে যাওয়া যাত্রীদের ছাড় দেওয়ায় স্বস্তির শ্বাস ফেলেছে বিমান সংস্থাগুলি, যাত্রীসংখ্যা এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
এখন যা নিয়ম, তাতে যে সব শহরে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেশি, সেই মুম্বই, পুনে, নাগপুর, চেন্নাই, আহমেদাবাদের ফ্লাইটের উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা বহাল আছে সপ্তাহের চারদিন – সেটা না থাকলে যাতায়াত আরও সহজ হয়ে যাবে। ফলে পুজোর সময়ে যাঁরা এখানে আসার প্ল্যান করছেন, তাঁরাও আসতে পারবেন স্বচ্ছন্দে।
তবে নিজের সাবধানতার জন্য যে সব নিয়ম মেনে চলা উচিত, সেগুলিতে কোনওরকম ঢিলেমি দেবেন না। ডাবল মাস্ক, ফেস শিল্ড, গ্লাভস পরুন নিয়ম মেনে, মেনে চলুন সোশাল ডিসট্যান্সিংয়ের নিয়ম। জরুরি কাগজপত্র, টিকিট ইত্যাদি হাতের কাছে রাখুন – যাতে ব্যাগ হাতড়াতে না হয়।