গতকাল, অর্থাৎ ২১ জুন থেকে ব্রিটেনে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সংক্রমণের হার গত ১৫ দিন ধরে লাগাতার বাড়তে থাকায় ১৯ জুলাই পর্যন্ত কিছু নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
দেখা যাচ্ছে যে, যাঁরা এখনও ভ্যাকসিন নেননি, তাঁদের মধ্যেই সংক্রমণের হার বেশি। জনসাধারণের গতিবিধির উপর আরও মাসখানেক নিয়ন্ত্রণ রাখা গেলে ভ্যাকসিনেশনের কাজও অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। বয়স্কদের সেকেন্ড ডোজ দিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসতে চাইছে সরকার।
যত মানুষ এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৯০%ই ভারতে প্রথম খোঁজ মেলা ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের শিকার। তবে সেক্ষেত্রেও ভ্যাকসিনেশন কাজ দিয়েছে — যত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের বেশিরভাগেরই খুব সিরিয়াস সমস্যা হয়নি, হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে অনেক কম সংখ্যক আক্রান্তকে।
ইউরোপে এখন ইউরো কাপ ফুটবল চলছে, তার দু’টি সেমি ফাইনাল ও ফাইনাল কয়েকটি ম্যাচ খেলা হবে লন্ডনে। ফুটবলার ও টিম মেম্বারদের জন্য বায়ো বাবলের ব্যবস্থা আছে ঠিকই, কিন্তু মাঠে কম হলেও দর্শক থাকছেন।
ট্রাফালগার স্কোয়ারে ফ্যান জোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানে বৈধ টিকিট নিয়ে ইংল্যান্ডের খেলা দেখানোর বন্দোবস্ত আছে – কিছু ডাক্তার তা নিয়ে প্রমাদ গুনছেন। তাঁদের আশঙ্কা, এই সব ইভেন্ট না আবার সুপার স্প্রেডার হয়ে ওঠে। তবে আয়োজক শহর শেষ মুহূর্তের পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবে – তাই রোগ বাড়লে সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারে।
ওদিকে উইম্বলডন টেনিস টুর্নামেন্টের কোয়ালিফায়ার শুরু হয়ে গিয়েছে। গত বছর উইম্বলডন বাতিল হয়েছিল – দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তেমনটা হয়নি আর। সাধারণ ম্যাচে ৫০% দর্শক ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, ১০ আর ১১ জুলাই নারী ও পুরুষদের ফাইনালের দিন সেন্টার কোর্টে ১০০% দর্শককে হাজির থাকার অনুমতি দেওয়া হবে বলা কথা দিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি কথা রাখতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও সন্দেহ আছে।
মূল পর্বের উইম্বলডন শুরু ২৮ জুন – ইউরোর মতো সরকার এই টুর্নামেন্টকেও কোভিড পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বড়ো ইভেন্টে মানুষজন একসঙ্গে এলে ঠিক কী হয়, সেটা দেখার জন্য এই দু’টি টুর্নামেন্টকে বেছে নিয়েছে সরকার। সমস্ত দর্শক, অংশগ্রহণকারী ও আয়োজকের জন্য বিশেষ নিয়মবিধি তৈরি হয়েছে ও তাঁদের তা মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে।