হ্যাঁ পারে, গত বছরই বর্ষীয়ান আম আদমি পার্টি নেতা ও দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসৌদিয়া দু’টি রোগে একসঙ্গে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ছিলেন এবং সুস্থও হয়ে ওঠেন। ডেঙ্গি হয় এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে, কোভিড হয় করোনা ভাইরাস নাক বা মুখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করলে — টেকনিকালি দু’টি একসঙ্গে হতেই পারে – বিরোধ নেই।
আমরা কি আপনাকে ভয় পাওয়ানোর জন্য এ সব বলছি?
আজ্ঞে না, আমাদের উদ্দেশ্য সময় থাকতে আপনাদের সতর্ক করা। তার কারণ মাঝে মাঝে খুচরো বৃষ্টি শুরু হয়েছে, বর্ষার আগে এমনটা চলতেই থাকবে। আগামী মাসখানেকের মধ্যে কালবৈশাখি ও প্রাক-বর্ষা নিম্নচাপের কারণে এমনটা চলতেই থাকবে।
আর সেই বৃষ্টির জল জমে থাকবে আপনার বাড়ির আশপাশের বাগানে, ফেলে দেওয়া মাটির ভাঁড় বা টবে, পুরোনো টায়ার, খোলা চৌবাচ্চা ইত্যাদিতে। এডিস মশার গত বছরের পেড়ে রাখা ডিমও এই স্থির জলে ফের সক্রিয় হয়ে উঠবে এবং বংশবিস্তারও করবে।
সরকারও ডেঙ্গি সচেতনতা শুরু করবে খুব শিগগির
রাজ্য সরকার, বিশেষ করে কলকাতা পৌরসভা এই কোভিডের সময়েও ডেঙ্গি রোধে গণ সচেতনতা গড়ে তোলার প্রয়াস শুরু করে দিয়েছে ইতিমধ্যেই। বিশেষ করে বাড়িতে থাকার কারণে অনেকেই এ বার ছাদে বা বারান্দায় বাগান করেছেন, তাঁদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।
যাঁরা ছাদে বা বারান্দায় জলের গামলা রেখে পদ্ম বা শালুক ফুটিয়ে সোশাল মিডিয়ায় সারাক্ষণ ছবি পোস্টাচ্ছেন, তাঁরা আগে জলে গাপ্পি মাছ ছাড়ুন, না হলে সেগুলিই ডেঙ্গির উৎসস্থল হয়ে দাঁড়াবে। দায়িত্ব নিয়ে বাড়ির আশপাশের জঙ্গল সাফ করান, কোথাও আবর্জনা জমাবেন না, কারণ তার ফাঁকে-ফোকরে জল জমতে পারে। খালি কৌটো, কাপ ইত্যাদিও ফেলে রাখবেন না।
ডেঙ্গি আর কোভিডের চিকিৎসা কি একসঙ্গে চলতে পারে?
হ্যাঁ পারে। তার কারণ দুটো ক্ষেত্রেই মূলত লক্ষণ দেখে চিকিৎসা হয় – আলাদা কোনও ওষুধ নেই। ডেঙ্গি রোগীর প্লেটলেট কমে যায় রোগ জটিল হয়ে গেলে। তাই সারাক্ষণ মনিটরিং করা জরুরি, তাই সর্বক্ষণ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। সেই সঙ্গে কোভিডের লক্ষণ থাকলে তার জন্য আলাদা চিকিৎসা হবে।
ডাক্তারকে সাহায্য করুন – নিজের মর্জিমতো ওষুধ খাবেন না, সেটা সামাল দিতে সবচেয়ে বেশি অসুবিধে হয়। মশারির মধ্যে শুতে পারলে ভালো হয়। প্রাথমিক অবস্থায় রোগের লক্ষণ মোটামুটি এক – জ্বর, গায়ে ব্যথা, কিছু কিছু ক্ষেত্রে র্যাশ। গোড়া থেকেই ডাক্তারের কথা মানতে হবে।