বাড়িতে সবার ভ্যাকসিনেশন হয়ে গিয়েছে? তার উপর বাংলায় এখন কোভিডের সংখ্যা খুব বেশি নয়, তাই আপনিও কি স্বস্তির শ্বাস ফেলে নিশ্চিন্তে আছেন? ঠিক এই আশঙ্কাতেই কাঁটা হয়ে রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত বছর ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টকে হালকাভাবে নেওয়ার ফল কী হয়েছিল, মনে আছে তো?
কয়েকদিন আগে হু-এর প্রধান ডা. টেড্রোস আদানোউম গেব্রেসিয়াস বলেছেন, “ওমিক্রনকে সবাই খুব হালকাভাবে নিচ্ছেন, তবে আমাদের হাতে যেটুকু তথ্য এসে পৌঁছেছে, তাতে একথা বলতে পারি যে ওমিক্রন ডেল্টার চাইতেও দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের মোট ৭৭টি দেশে তার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে – যেখানে পাওয়া যায়নি, সেখানেও সম্ভবত তা পৌঁছে গিয়েছে, তবে ধরা পড়েনি।”
সমাজের সর্বস্তরে ভ্যাকসিনেশনের হার অনেকটাই বেড়েছে বলে হয়তো ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে না, মৃত্যুহারও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই কম। কিন্তু সংক্রমণ বাড়তে দিলে ব্যাপারটা ফের হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। তাই সোশাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলুন, ভিড়ের মধ্যে বিশেষ না যাওয়াই ভালো। বাইরে বেরোতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরুন। সারফেস ও হাত স্যানিটাইজ করুন একেবারে নিয়ম মেনে। পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেন? তা হলে বাড়ি ফিরে অবশ্যই জুতো, পোশাক ইত্যাদি ধুয়ে নিন ভালো করে।
সবে ঠান্ডা পড়তে আরম্ভ করেছে, তাই সাবধানে থাকুন। ঠান্ডা লেগে সাধারণ সর্দি-কাশি-জ্বর হলেও একবার ডাক্তার দেখিয়ে নেওয়া জরুরি। ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হলেও কিন্তু খুসখুসে কাশি, গলা ব্যথা, মাথা ও গা-হাত-পায়ে ব্যথা, ক্লান্তিভাব, নাক দিয়ে কাঁচা জল পড়ার মতো সমস্যাগুলো হচ্ছে – দুটো গুলিয়ে যেতেই পারে। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তবেই ওষুধ খান।
আশার কথা হচ্ছে যে ডেল্টার মতো ওমিক্রন সংক্রমিত বাচ্চাদের মধ্যে তেমন কোনও লক্ষণ চোখে পড়ছে না। তারা সেরেও উঠছে তাড়াতাড়ি। পাশাপাশি সারা দুনিয়া জুড়েই চলছে অ্যাডভান্স রিসার্চের কাজও – খুব শিগগির এই ভ্যারিয়ান্ট সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য হাতে আসবে। ততদিন পর্যন্ত সাবধানে থাকতে হবে।
হ্যাঁ, এ কথা খুব সত্যি যে দিনের পর দিন ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে আটকা পড়ে থাকতে থাকতে অনেকেরই নাভিশ্বাস উঠছে। এমন মিঢে-কড়া শীতের মরশুমে বাইরে বেরোলে ভালোও লাগবে। তাতে ফের একটা মারণ ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। অতএব, খুব সাবধানে থাকুন।