কিছু কিছু অত্যুৎসাহী বেড়াতে বেরিয়ে পড়েছেন বটে, কিন্তু এখনও মূলত কাজের সূত্রেই মানুষ বাড়ি ছেড়ে অন্য রাজ্যে যাচ্ছেন। আপনি যেখানে যাবেন, আগে সেখানকার সরকারি ওয়েবসাইট ভালো করে দেখে নেবেন অবশ্যই। আপাতত আমরা ৫টি রাজ্য পর্যটকদের জন্য যে সব নিয়ম লাগু করেছে, সেগুলির তথ্য জানালাম। কোভিডের বাড়া কমার উপর ভিত্তি করে এই নিয়ম কিন্তু বদলাতে পারে যে কোনও সময়ে।
দিল্লি
আপাতত দিল্লির অবস্থা স্থিতিশীল। লকডাউন নেই। তবে ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখা ভালো। ট্যুরিস্ট বা কাজের সূত্রে যাঁরা আসছেন সবাইকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে। তবে কোভিড বিধি মেনে চলুন।
গোয়া
গোয়ায় যাওয়ার ৭২ ঘণ্টা আগে করানো নেগেটিভ আরটিপিসিআর টেস্ট বা ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট থাকা আবশ্যক। এখনও পর্যটকদের জন্য গোয়ার পরিবেশ অনুকূল হয়নি, অজস্র কনটেনমেন্ট জোন আছে। নানা বিধিনিষেধও রয়েছে। কাজের সূত্রে যাওয়ার হলে আগে সরকারি ওয়েবসাইট দেখে নিন।
সিকিম
লকডাউন নেই আপাতত, কেস বাড়লে ফের লাগু হতে পারে। ভ্যাকসিনের কোর্স পুরো হয়েছে যাঁদের সেই সব পর্যটক যেতে পারেন, মেল্লি আর রংপো চেক পোস্টে কড়া পরীক্ষা হচ্ছে বাইরে থেকে আসা সব গাড়ির। অন্যথায় ৪৮ ঘণ্টা পুরোনো কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট রাখতে হবে সঙ্গে।
পরিবারের বড়োদের ভ্যাকসিনেশন হলে বাচ্চাদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে যাঁরা টিকা নেননি বা আংশিক ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে আর নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে নেই, তাঁরা প্রবেশাধিকার পাবেন না। যে ড্রাইভারের সঙ্গে পাহাড়ে উঠছেন, তাঁর বৈধ নথি আছে কিনা জেনে নিন, না হলে সমস্যা হবে।
সিকিম সরকারের পোর্টালে ট্যুরিস্ট হিসেবে নিজেকে রেজিস্টার করাতে হবে, সেখানে থেকে পাওয়া ট্র্যাভেল পাস সঙ্গে রাখতে হবে সারাক্ষণ। রাত সাড়ে দশটা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কার্ফু জারি আছে, এই সময়ে একেবারেই বেরনো যাবে না।
মহারাষ্ট্র
মহারাষ্ট্রের কিছু কিছু এলাকায় কড়া বিধিনিষেধ আছে, বেশিরভাগ জায়গায় নিয়ম আগের চেয়ে শিথিল করা হয়েছে। টিকাকরণ পূর্ণ হলে এবং দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার পর ১৫ দিন কেটে গেলে ঠিক আছে, না হলে নেগেটিভ কোভিড রিপোর্ট চাই রাজ্যে প্রবেশের আগে।
কোলাপুর, সাতারা, পুনে, রায়গড়, আহমেদনগরে কিন্তু এখনও সংক্রমণের সংখ্যা বেশি। এই সব এলাকায় কী কী নিষেধাজ্ঞা আছে স্থানীয় প্রশাসনের ওয়েবসাইটে তা দেখে নিন যাওয়ার আগে।
কেরালা
কেরালায় ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হচ্ছে। সপ্তাহান্তে কার্ফু থাকছে। পর্যটক দের প্রবেশাধিকার নেই আপাতত। কার্যসূত্রে গেলেও সরকারি পোর্টাল থেকে ই-পাস বের করতে হবে। সঙ্গে পূর্ণ ভ্যাকসিনেশনের নথি বা নেগেটিভ আরটিপিসিআর রিপোর্ট থাকা আবশ্যক।