এ দেশে উৎসবের মরশুম শুরুই হয় শীত পড়তে আরম্ভ করার পর। এ বছর এখনও পর্যন্ত যা অবস্থা, তাতে আমোদ আহ্লাদের তো প্রশ্নই নেই – মানে মানে মরশুম বদলের সময়টা এড়াতে পারলে বাঁচা যায়। কিন্তু তার মধ্যেও দীপাবলি, জগদ্ধাত্রী পুজো, বছর শেষে ক্রিসমাস আছেই। একটু আনন্দ না করলে বাড়ির পরিবেশটাও কেমন যেন গুমোট হয়ে আছে না?
আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, সাবধানে থাকুন, ভিড় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। বাড়িতে নিজেদের মধ্যে আনন্দ করতে কোনও বাধা নেই। হ্যাঁ, এ কথাও ঠিক যে উৎসবের দিনগুলোতে বাজি পোড়ানোর চল আছে আমাদের দেশে। কিন্তু এ বছর তো অনেক নিয়মই আমরা পালন করিনি – এটাও না হয় মুলতুবি থাক! করোনা ভাইরাস পুরোপুরি কাবু হলেই না হয় বাজি পোড়ানো যাবে!
কিন্তু আলোর মালায় বাড়ির চারপাশ সাজিয়ে তুলতে কোনও বাধা নেই। প্রদীপ, মোমবাতি, টুনি বালবের মায়ায় ঘর সাজান। বাড়ির সদস্যদের জন্য জমিয়ে রান্না করুন। ইন্টারনেট ছেয়ে গিয়েছে অজস্র সহজ রেসিপির ভিড়ে। আপনি সন্দেশ, কাজু বরফি, কেক থেকে আরম্ভ করে বিরিয়ানি, কোর্মা, কাবাব রেঁধে ফেলতে পারবেন খুব সহজে। বাড়িয়ে খাবার আনিয়েও নিতে পারেন পছন্দের রেস্তোরাঁ থেকে, মাটামুটি সবাই এখন নিরাপত্তা বিধি মেনেই রান্নাবান্না করছেন।
দূরে থাকা আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন ভিডিও কলের মাধ্যমে, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দৌলতে আমাদের সবার হাতের মধ্যেই ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ আছে, তাই সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে অসুবিধে হওয়ার কথা হয়।
ঘর-দোর পরিষ্কার করার সময় সাবধান, খুব বেশি ধুলোর সামনে না থাকাই ভালো। শ্বাসনালী যেন কোনওভাবে আটকে না যায়, সেটা দেখতে হবে। দরকারে বার বার ভেপার নিন, অল্প ভিজে ন্যাতা দিয়ে ধুলোময়লা সাফ করুন। তাতে অসুবিধে হওয়ার কথা নয়।
এ বছর নতুন পোশাক কিনতে পারলে খুব ভালো – তাতে অন্তত কিছু ব্যবসায়ীর সুবিধে হয়। কিন্তু যাঁরা পারছেন না, তাঁরাও দুঃখ করবেন না! অজস্র জামাকাপড় প্রত্যেকের আলমারিতেই পড়ে থাকে, পরা হয় না। সেগুলির সাহায্যেই সুন্দর করে সেজে উঠুন! আনন্দ তো কাছের মানুষের সঙ্গে থাকলে পাওয়া যায়। পরিবার আর বন্ধুবান্ধবদের সবাই সুস্থ থাকলেই দেখবেন আপনার সবচেয়ে ভালো লাগছে!