সব আশঙ্কা সত্যি করে ফের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে গোটা রাজ্য জুড়েই। ডাক্তার ও প্রশাসনের বারংবার সতর্ক করার পরেও পুজোর কয়েকদিন রাস্তায় নেমেছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ, তাঁদের অনেকের মাস্কও ছিল না। হোটেল-রেস্তোরাঁয় দেদার খাওয়াদাওয়া হয়েছে, পুজোর বাজার হয়েছে জমিয়ে। ফলে আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়তে আরম্ভ করেছে স্বাভাবিকভাবেই।
দীপাবলির আগে যাতে আক্রান্তের সংখ্যায় খানিকটা রাশ টানা যায়, তার জন্য উদ্যোগী হয়ে উঠেছে রাজ্য প্রশাসন। আজ থেকে রাত্রিকালীন কোভিড বিধি ফের বলবৎ করা হচ্ছে গোটা রাজ্যে। নেহাত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। একান্ত বেরোতে হলেও সঙ্গে দরকারি সমস্ত কাগজপত্র রাখতে হবে।
পুজোর আগে-পরে টিকাকরণ কর্মসূচিতেও কিছু ঢিলেমি এসেছিল, সরকারের তরফে ফের ভ্যাকসিনেশনে গতি আনার চেষ্টা চলছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে বহু মানুষ এখনও টিকাকরণের আওতার বাইরে আছেন।
. ডাক্তাররা বারবার বলছেন, বাইরে বেরোলে অতি অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। পুজো ও লক্ষ্মীপুজোর কেনাকাটার সময়ে মাস্ক পরার বালাই ছিল না অধিকাংশ মানুষের। এখনও যদি সেই ট্রেন্ডই চলে, তা হলে কিন্তু মুশকিল।
. ভিড় এড়িয়ে চলুন। কোভিডকে হালকা চালে নেওয়ার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে আমাদের মধ্যে, আর সেটাই কার্যত বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনেকেই অ্যাসিমটোম্যাটিক, তাঁরা নিজেরাও জানেন না যে ভিড়ের মধ্যে তাঁদের বদান্যতায় ছড়িয়ে যাচ্ছে কালান্তক ব্যাধি।
. খুসখুসে কাশি, গলায় অস্বস্তি, জ্বর, মুখের স্বাদ চলে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলিকে একেবারেই হালকাভাবে নেবেন না। সাধারণ ভাইরাল ফিভারের উপসর্গ থাকলেও ডাক্তার দেলখান, দরকার হলে আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। কোভিড হয়েছে জানা গেলে মানুষের সচেতনতা বাড়ে, রোগ ছড়ায় কম।
. ডাক্তারদের ধারণা, সামান্য উপসর্গেও পরীক্ষা করানো হলে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির আসল চিত্রটা বোঝা যাবে। যদি আপনার চেনা-জানা কারও কোভিড হয়ে থাকে, তা হলে আইসোলেশনে চলে যান। তা না হলে আপনার কারণেই অনেকে আক্রান্ত হবেন।
. কালীপুজো বা দেওয়ালির সময়ে কিন্তু খুব সাবধানে থাকার দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই নিতে হবে। কোনও প্রশাসনই একার চেষ্টায় কোভিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে না।
. আবহাওয়া বদলাচ্ছে, তাই ঠান্ডা লাগাবেন না।
. যাঁদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়নি, তাঁরা এখনই টিকা নিয়ে নিন। টিকা নেওয়ার পরেও খুব সাবধানে থাকতে হবে।