পুজোয় ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও কোভিড ঠেকানোর জন্য নবান্ন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মূল রূপরেখাটা জেনে রাখলে সুবিধে হবে সবার।
. মণ্ডপ যাতে খোলামেলা হয়, সেদিকে লক্ষ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে পুজো কমিটিগুলিকে।
. দর্শনার্থীরা যেদিক দিয়ে ঢুকবেন, সেদিক দিকে বেরোতে পারবেন না – মুখোমুখি ভিড় এড়াতে হবে। প্রবেশ আর প্রস্থানের রাস্তা আলাদা হওয়া বাঞ্ছনীয়।
. মণ্ডপে শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলতেই হবে, কোনও অবস্থাতেই বহু মানুষ ঢুকতে পারবেন না এক সময়ে।
. সমস্ত পুজোকমিটি সোশাল মিডিয়া ও যে কোনও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে নিজেদের পুজোর প্রচার করতে পারবেন, তাতে সমস্যা নেই বরং উৎসাহ দেওয়া হবে।
. মণ্ডপে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও বাড়তি মাস্কের ব্যবস্থা রাখতেই হবে।
. প্রতিটি পুজোমণ্ডপে বহু স্বেচ্ছাসেবক রাখা উচিত, তাদের সবার মুখ মাস্কে ঢেকে রাখতে হবে। তাঁদেরও শারীরিক দূরত্ব মানতে হবে এবং সেই সঙ্গে দেখতে হবে যাতে মণ্ডপে কোনওভাবেই দর্শনার্থীরা ভিড় না জমাতে পারেন।
. অঞ্জলি, সিঁদুরখেলা বা দেবীবরণ হবে, তবে আকারে ও আয়তনে ছোটো করে। হাতে গোনা কয়েকজনকে নিয়ে ছোটো ছোটো দল তৈরি করে এই সমস্ত পালন করার অনুমতি দেওয়া হবে।
. পুরোহিতেরা সমস্ত আচারের মন্ত্র মাইকে পড়বেন, পুজো কমিটিকে নিশ্চিত করতে হবে যেন তা সমস্ত বাড়ি থেকে শোনা যায়। বাড়ি থেকে ফুল এনে অঞ্জলি দেওয়া যাবে।
. পুজোর উদ্বোধন বা বিসর্জনে ভিড় করা যাবে না, যতটা সম্ভব তা সারতে হবে ভার্চুয়ালি। বিসর্জনের সময়ে স্লট বেঁধে দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সেই স্লটেই ভাসান দিতে হবে, শোভাযাত্রা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না। প্যান্ডেল থেকে সরাসরি ঘাটে এনে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে হবে। রাজ্য সরকারের পুজো কার্নিভালের প্ল্যানও এবার বাতিল হয়েছে।
. পুজো সংক্রান্ত কোনও অনুমতি নেওয়া বাকি আছে? অনলাইনে আবেদন করুন।
. তৃতীয়া থেকে মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের জন্য, আশা করা হচ্ছে তাতে ভিড়ের চাপ কমানো সম্ভব হবে। (উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে ড্রাইভ ইন দর্শনে – গাড়ি চালিয়ে প্যান্ডেলের একদিক দিয়ে ঢুকে অন্যদিক দিকে বেরিয়ে যান। তবে রাস্তায় গাড়ির ভিড় থাকবে, তা বোঝাই যাচ্ছে।)
. পুজোগুলিকে পুরস্কার দেওয়ার জন্যেও বিচারকেরা মণ্ডপে ঢুকে ভিড় করতে পারবেন না। বিচারপর্ব সারতে হবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল তিনটের মধ্যে। বড়োজোর দুটি গাড়ি একসঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করবে।