এ রাজ্যে সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখি হচ্ছে ফের, আশঙ্কা আছে থার্ড ওয়েভের। সেই সঙ্গে আবার উঁচু ক্লাসের ছাত্ররা স্কুলে যেতে আরম্ভ করবে শিগগির, সামনেই সিবিএসই ও আইসিএসই বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষাও আছে।
অভিভাবকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে স্বাভাবিকভাবেই। যদি ফের ক্লাস বন্ধ করে দিতে হয় সংক্রমণের আশঙ্কায়, বা পরীক্ষার আগে অসুখ করে, তা হলে কী হবে? এই ভেবেই বিনিদ্র রজনী কাটাচ্ছেন বহু মা-বাবা। চিন্তা করবেন না, সুরক্ষাবিধি মেনে চলুন অক্ষরে অক্ষরে – তা হলে বিপদের আশঙ্কা কমে।
. সিবিএসই বোর্ডের তরফে টেন ও টুয়েলভের ছাত্রদের বাড়ির বাইরে না পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আগেই। বাচ্চাদের ইমিউনিটি বেশি হলেও এখনও কারও টিকা নেওয়া হয়নি। তাই অহেতুক বাইরে যাওয়া, বেড়ানো ইত্যাদির পাট না রাখাই ভালো। কোভিড থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য ভিড় থেকে দূরে থাকতে হবে।
. যাঁরা বাইরে যাচ্ছেন, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করছেন বা বাচ্চাকে বাসে-ট্যাক্সিতে স্কুলে পাঠাবেন তাঁরা হাত স্যানিটাইজ করুন নিয়ম মেনে, মাস্ক ব্যবহার করুন। অন্য কারও সঙ্গে খাবার, জলের বোতল শেয়ার করবেন না – বাচ্চাকেও এই অনুশাসন মেনে চলার সুবিধেগুলি বুঝিয়ে বলুন।
. বাচ্চাকে বোঝান, স্কুলে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বলেই আবেগে ভেসে গেলে চলবে না। বজায় রাখতে হবে দূরত্ববিধি। স্কুলের বাইরে বেরিয়েই একে-অপরকে জড়িয়ে ধরা মানেও বিপদ। রোজ জামাকাপড় কেচে পরা উচিত। বাইরে থেকে বাড়িতে ঢুকে স্নান সেরে নিতে হবে আগে।
. সন্তানের শরীর সামান্য খারাপ লাগলেও স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। পরীক্ষার কথা ভেবে বাকিদের জীবন বিপন্ন করবেন না – আপনার সতর্কতা বাকিদের সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে। কোভিড পরিস্থিতিতে সব ছাত্রছাত্রী যাতে পরীক্ষা দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হবে – অযথা আতঙ্কিত হয়ে বিপদ বাড়াবেন না।
. স্কুল যখন বাচ্চার মেডিক্যাল রেকর্ড জানতে চাইবে, কোনও কিছু লুকোবেন না। সব সত্যি বলুন। পরিবারে কোনও অ্যাসিম্পটোম্যাটিক পেশেন্ট থাকলেও আইসোলেশনে চলে যাওয়া একান্ত জরুরি। কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সামান্য শরীর খারাপ লাগলেও ডাক্তার দেখান।
. বাচ্চাদের টিকাকরণ শুরু হলেই সন্তানকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। তাতে সে কোভিড থেকে সুরক্ষিত থাকবে।