ভারত সরকারের প্রধান বিজ্ঞানবিষয়ক উপদেষ্টা কে বিজয়রাঘবন এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, এ দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের শীর্ষে পৌঁছনোটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, রাজস্থানে সেকেন্ড ওয়েভ শুরু হয়েছিল আগে, গত কয়েকদিন ধরেই সেখানে কেস লোড কমছে।
কর্নাটক, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, আসামে দৈনিক কেস এখনও বাড়ছে, এখানে দ্বিতীয় ঢেউ শুরুও হয়েছিল দেরিতে। ভাইরোলজিস্টদের ধারণা, সব মিলিয়ে জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে সারা দেশেই ফের কোভিড রোগীর সংখ্যা কমতে আরম্ভ করবে – তবে সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে হবে, আর সরকারকে বাড়াতে হবে টিকাকরণের সংখ্যা। তা না হলে কিন্তু এ আশাও ব্যর্থ হবে।
গতবার কোভিডের সংখ্যা এভাবে কমেছিল একটা সময়ে, আর তখনই রোগটাকে সিরিয়াসলি নেওয়া বন্ধ করে দেয় সাধারণ মানুষ। তারই ফলে এভাবে আবার দাঁত-নখ বের করে ফিরে এসেছে সেকেন্ড ওয়েভ। আমরা প্রত্যেকে যদি সচেতন হয়ে কোভিড বিধি মেনে চলি, তা হলে হয়তো থার্ড ওয়েভ তীব্রভাবে দেখা দেবে না – তেমনটাই স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তাদের ধারণা।
কিছু বিজ্ঞানী মনে করেন, করোনা ভাইরাস যেভাবে মিউটেট করছে, তাতে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার কারণ নেই এখনও পর্যন্ত। সমস্ত আগাম ভবিষ্যৎবাণীকে তা মিথ্যে প্রমাণ করেছে ইতিমধ্যেই। তাই কোনও মতকেই অকাট্য বলে ধরে না নিয়ে প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকুন।
. নিজের সাবধানতা নিজের কাছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাজার-দোকান করার যে গাইডলাইন দিয়েছে, তাতে স্পষ্ট বলা আছে, কী কী কিনতে হবে তার তালিকা নিয়ে বাজারে যান, ঝটপট কিনে বাড়ি ফিরুন। সম্ভব হলে অনলাইনে আনিয়ে নিন।
. বাড়ির বাইরে মাস্ক মাস্ট। ডাবল মাস্কিং মানে বেশি নিরাপত্তা। বাড়ি ফিরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
. সেকেন্ড ওয়েভ কমলেই ফের অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাওয়া, বেড়ানো শুরু করবেন না। তাতে নিজের জীবনের পাশাপাশি আপনি আরও অনেককে বিপদে ফেলবেন।
. এখন যদি আপনার গলা খুসখুস, জ্বর, কাশি, গায়ে ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তা হলে সবার আগে নিজেকে আইসোলেট করতে হবে। ধরেই নিন সংক্রমিত হয়েছেন, ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে তবেই ওষুধ খান।
. ভিড় এড়িয়ে চলুন। কোনও জমায়েত, সমাবেশ, অনুষ্ঠানে যাবেন না।
. স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কড়া নির্দেশিকা আছে যে বাড়িতে রেমডেসিভির দেওয়া যাবে না, অক্সিজেনও ডাক্তার বা নার্সের তত্ত্বাবধানে দেওয়া উচিত। তা না হলে বড়ো বিপদ হতে পারে।