হাইকোর্টের সাম্প্রতিকতম নির্দেশিকা অনুযায়ী, এবার কালীপুজোয় বাজি একেবারেই ব্যান করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাইরে বেরোতে বার বার বারণ করা হচ্ছে, কারণ দুর্গাপুজোর উন্মাদনায় গা ভাসানোর পর কোভিড এক লাফে বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই।
তা হলে কীভাবে কাটাবেন আলোর উৎসব? বাজি না পোড়ালেও বাড়ি সাজাতে, ভালো-মন্দ রান্না করতে, প্রদীপ জ্বালাতে বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডার আসর বসাতে তো কোনও বাধা নেই! তাই এখন থেকেই নানা ধরনের বাতি আর দীপ খুজে বের করার চেষ্টা করুন – একটা অন্যরকম দীপাবলি কাটাতে খুব খারাপ লাগবে না!
. মনে রাখবেন, পরিবেশ দূষণ বাড়াতে বাজির বিরাট ভূমিকা আছে। এমনিতেই বাতাসে হালকা শিরশিরানি টের পাওয়া যাচ্ছে। তার উপর কালীপুজো, দীপাবলি, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী বা বড়োদিন-নববর্ষ বাবদে যে পরিমাণ বাজি পোড়ে, তাতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা বাড়ে।
. কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। পাশাপাশি এই সময়টা অ্যাস্থমা বা সিওপিডি রোগীদের জন্যেও সময়টা খুব ভালো নয়। এই অবস্থায় বাতাসে দূষণ বাড়লে অসুস্থ মানুষদের অবস্থা আরও খারাপ হবে। এই সব ভেবেই হাইকোর্ট বাজির পোড়ানোটাই বাতিল করেছে এ বছরের জন্য। বাজি তৈরি, বিকিকিনিও আইনের চোখে অপরাধ বলেই বিবেচিত হবে।
. বাড়িতে বন্ধুবান্ধবদের ছোটো ছোটো গ্রুপ তৈরি করে আড্ডা মারুন, তাতে কোনও অসুবিধে নেই। কিন্তু অনেক লোকজনের জমায়েতে যাওয়া এড়িয়ে চললেই ভালো হয়। খোলা বারান্দা বা ছাতে সবাই মিলে জমা হলে সোশাল ডিস্ট্যানসিংয়ের নিয়ম মানতে সুবিধে হবে। লং ড্রাইভে যেতে পারেন – কিন্তু এখনই বেড়াতে বেরিয়ে পড়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে যাঁদের পরিবারে ছোটো বাচ্চা বা বয়স্ক সদস্য আছেন, তাঁরা খুব সাবধানে থাকুন।
. বাড়িতে জমিয়ে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করুন। আপনার অতিথিরা কোন বয়সের, তাঁরা কী কী খেতে ভালোবাসেন সে সব ভালো করে ভেবে নিন আগে। আড্ডা চলাকালীন মুখ চালানোর জন্য নানা ধরনের ফিঙ্গার ফুড রাখা উচিত। চিজের টুকরো, কয়েক রকম বাদাম, চিকেন/মাটন বা বিট-গাজরের পুর ভরা কাটলেট, চিলি ফিশের মতো কিছু পদ রাখতে পারেন স্টার্টার হিসেবে।
. মেন কোর্সে এমন কিছুর ব্যবস্থা রাখুন যা রান্না করতে খুব একটা পরিশ্রম হয় না। বিরিয়ানি, তেহরি, বা মাংস দিয়ে রান্না করা কোনও পোলাও আর একটা সাইড ডিশ থাকলেই হবে। যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁদের জন্য পনির, ছানা, ভালো কোনও ডাল বা ফুলকপির একটা রান্না অবশ্যই রাখবেন।