হ্যাঁ, মেনে নিলাম যে বছর শেষের জন্য খুব আগ্রহ নিয়ে আপনি অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সেই সঙ্গে এটাও মেনে নিন যে এখনও করোনা ভাইরাসকে পুরোপুরি কাবু করা যায়নি, বরং ব্রিটেন থেকে আসা নতুন স্ট্রেন ক্রমে ঢুকে পড়ছে আমাদের রাজ্যেও, ছড়িয়ে পড়ছে খুব দ্রুত। গত মার্চে এভাবেই এক-দুই করতে করতে দেশে লাখো লাখো রোগী কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার কী হবে এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তাই সাবধানে থাকুন। ক্রিসমাসে সব নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে পথে নেমে পড়েছিলেন বহু মানুষ। এবারও তেমন হলে কিন্তু বিপদ বাড়তে পারে।
অনেকেই বলছেন, পুজোর পরেও রোগীর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা তো বাড়েনি – তাই অত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই ভুলটা করতে যাবেন না। সেকেন্ড ওয়েভ ভয়াবহ আকার নেওয়ায় ফের থমকে দাঁড়িয়েছে ইউরোপের ব্যবসা-বাণিজ্য। ভারতেও তেমনটা হলে কিন্তু অর্থনীতির হাল আরও খারাপ হবে।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে নিউ ইয়ার্স ইভের প্রাক্কালে, সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে কোথাও কোনও ধরনের ভিড় বা জমায়েত না হয় তার ব্যবস্থা করতে। সমস্ত কোভিড প্রোটোকল কঠোরভাবে মানতে হবে সব ক্লাব, রেস্তোরাঁ, পার্টি অ্যাড্রেসগুলিকেও। মোটামুটি সব বড়ো শহরেই জারি হচ্ছে নানা নিষেধাজ্ঞা। কল্পকাতায় নাইট কার্ফু জারি হচ্ছে না বটে, তবে পুলিশকে বলা হয়েছে গোটা শহর মুড়ে ফেলতে হবে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে, নানা জায়গায় তৈরি করতে হবে চেক পয়েন্ট। মদ্যপান করে গাড়ি চালানো বা ইভ টিজিং একেবারে নিষিদ্ধ।
আপনার কি বাড়িতে পার্টি করার প্ল্যান আছে? তা হলে কয়েকটি বিষয় নিশ্চিত করুন।
১. হাতে গোনা কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে পার্টি করুন, মেনে চলুন সামাজিক দূরত্ববিধি। পরুন মাস্ক, ব্যবহার করুন স্যানিটাইজার। যাঁরা পার্টি করছেন একসঙ্গে, তাঁরা যে গত কয়েকদিনে কোনওভাবেই ব্রিটেন থেকে আগত কারও সংস্পর্শে আসেননি, সে বিষয়টা সুনিশ্চিত করে নিতে হবে।
২. সামান্য শরীর খারাপ হলেও বাড়ির বাইরে পা রাখবেন না, পরিবারের সকলকে নিরাপদে রাখুন।
৩. যাঁদের বয়স ১০ বছরের কম বা ৬০ বছরের বেশি, তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।
৪. দূরে থাকুন ডান্স ফ্লোর থেকে, অন্তত এ বছরের জন্য। চারদিক বন্ধ জায়গায় ঠাসাঠাসি ভিড়ে নাচাগানা করে নিজের বিপদ বাড়াবেন না। সব ঠিক হয়ে গেলে চুটিয়ে পার্টি করবেন না হয়!