উফ, কী দলটা না গড়ল প্যারি সঁ জারমঁ! লেফট উইঙ্গার নেইমার, সেন্টার ফরওয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপে, রাইট উইং-এ ঝড় তুলবেন লিওনেল মেসি। একটু নিচ থেকে খেলানো হতে পারে দি মারিয়াকে। মাঝমাঠ থাকবে পারাদেস, ভনাল্ডেম আর ভেরাত্তির দখলে। রক্ষণের দায়িত্বে সেরজিও রামোস, আচরাফ হাকিমিরা। আর গোলে প্রাচীর হয়ে দাঁড়ানো বিশ্বকাপ কাঁপানো জিয়ানলুইগি দোনারোমা। এমনকী রিজার্ভ বেঞ্চে যে টিম বসবে, তাতেও তারকার ছড়াছড়ি!
কাতারের ব্যবসায়ী ও ধনকুবের নাসের আল খালিফি এখন পারি সঁ জারমঁ-র প্রেসিডেন্ট। বার্সেলোনায় মেসির থাকার উপায় নেই জানা মাত্রই তিনি বিরাট একটা টাকার অফার দিয়ে রেখেছিলেন। তার পর আর্জেন্টিনার মেগা তারকা ফুটবলার ও তাঁর বাবা হর্হেকে (যিনি কিনা মেসির ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেন) রাজি করানোর দায়িত্ব নেন নেইমার জুনিয়ার।
নেইমার মেসির চেয়ে কম টাকা পাচ্ছেন, নিজের ১০ নম্বর জার্সিও ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন — মেসি তা প্রত্যাখ্যান করে বেছে নিয়েছেন ৩০ নম্বর জার্সি। এমবাপের মতো তরুণ তারকার সঙ্গে মেসির তালমেল কেমন হয়, সেটা দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন গোটা দুনিয়ার ফুটবলপ্রেমীরা। মেসি নিজেও এমবাপের সঙ্গে খেলার জন্য মুখিয়ে আছেন।
সেরজিও রামোস আর মেসি এতকাল পরস্পরের বিরোধী টিমে খেলেছেন, তাঁদের মাঠের শত্রুতা সর্বজনবিদিত। এক টিমে তাঁদের ইগো ক্ল্যাশ করবে না তো? রামোস অবশ্য সাংবাদিকদের সামনে লিওর খুব প্রশংসা করেছেন, মেনে নিয়েছেন তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব।
মেসি চলে আসায় লা লিগা জৌলুশ হারাল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে স্পেন আর্থিকভাবে এখন খুব খারাপ জায়গায় আছে, বার্সেলোনা আর রিয়াল মাদ্রিদের মতো বড়ো ক্লাবের হাতেই টাকা নেই। উলটো দিকে প্যারিসের লিগ ওয়ান চলে আসবে আকর্ষণের কেন্দ্রে – নিশ্চিতভাবেই এ মরশুমে পারি সঁ জারমঁকে নিয়ে চূড়ান্ত আগ্রহ দেখাবেন দর্শক ও বিজ্ঞাপনদাতারা।
লিও মেসির নতুন ক্লাব একবারও চ্যাম্পিয়ানস লিগ জিততে পারেনি এখনও, দু’ বছরের চুক্তিতে ফ্রান্সে এসে তিনি আগে এই খেতাব জিততে চান। বার্সেলোনাকে চারবার চ্যাম্পিয়ানস লিগ ট্রফি দিয়েছেন এই কিংবদন্তি – ক্লাব ফুটবলে তাঁর সাফল্য চোখ ধাঁধিয়ে দেওয়ার মতো। প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনেই তিনি বলেছেন যে নতুন ক্লাবের হয়ে আরও একবার এই ট্রফি জেতার ইচ্ছে আছে তাঁর।
সে সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। তবে এটাও ঠিক যে অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট হওয়ার প্রবাদটাও আছে কিন্তু!