মিনিস্ট্রি অফ লেবার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্টের সাম্প্রতিক ঘোষণা আশা জাগিয়েছে এ দেশের কোভিড আক্রান্ত বহু মানুষের মনে। অতিমারির সময়ে আর্থিক সমস্যায় রয়েছেন কম-বেশি সকলেই। সেখানে পরিবারের মূল রোজগেরে মানুষটি মৃত্যুবরণ করলে তাঁর পরিজনদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এই দুই সংগঠন।
গত বছর যখন করোনার কারণে দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষিত হল, তখন পিএফ থেকে বিশেষ ঋণ নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। তখন বলা হয়েছিল যে এই ঋণ একবারের বেশি মিলবে না। এবারে নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে – চাইলে কোনও কর্মী দ্বিতীয়বারও প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
ঠিক কত টাকা তুলতে পারবেন একজন সদস্যের পরিবার? তিনমাসের বেতন, প্রভিডেন্ট ফান্ডে মোট জমা হওয়া টাকার ৭৫% বা যত টাকা ঋণের আবেদন করেছেন – এই তিনটি রাশির মধ্যে যা সবচেয়ে কম, সেটাই মঞ্জুর হবে ঋণ হিসেবে।
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড যে এমপ্লয়িজ ডিপোজিট লিঙ্কড ইনশিওরেন্স প্রকল্প চালায়, তার আওতায় কোভিডে মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিমার সর্বাধিক অঙ্ক বাড়িয়ে ৭ লক্ষ করা হয়েছে, সর্বনিম্ন অঙ্ক হচ্ছে ২.৫ লক্ষ টাকা। আগে নিয়ম ছিল, মারা যাওয়ার আগে টানা এক বছর কোনও নির্দিষ্ট সংস্থায় কাজ করতে হবে কর্মীকে, এখন সেক্ষেত্রেও ছাড় মিলবে। যাঁরা গত এক বছরের মধ্যে অন্য সংস্থায় যোগ দিয়েছেন, তাঁদের পরিবারও এই বিমার সুবিধে পাবেন।
ইএসআইয়ের আওতাধীন কর্মীরা কর্মরত থাকা অবস্থায়, বাড়ি থেকে অফিস যাওয়া বা ফেরত আসার সময়ে মারা গেলে তবেই তাঁদের পরিবার সারা জীবন পেনশন পেত। এখন বাড়িতে বা হাসপাতালে থেকে কোভিডের চিকিৎসা চলাকালীন কেউ মারা গেলেও তাঁর পরিবার পেনশন পাবে। তবে কোভিড ধরা পড়ার অন্তত তিনমাস আগে কর্মীকে ইএসআই নথিভুক্ত হতে হবে। সংস্থা যেন অন্তত ৭৮ দিনের টাকা কর্মীর অ্যাকাউন্টে জমা করে, সেটাও দেখতে হবে।
আপাতত বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৪ মার্চ থেকে ২০২২ সালের ২৪ মার্চের মধ্যে যাঁরা প্রয়াত হচ্ছেন, তাঁদের পরিবারই এ সুবিধা পাবেন – এমনটাই বলা হয়েছে আপাতত। কর্মীর গড় দৈনিক মজুরির ৯০% টাকা দেওয়া হবে পারিবারিক পেনশন হিসেবে। পাবেন মৃতের স্ত্রী, অবিবাহিতের ক্ষেত্রে মা। নাবালক সন্তান থাকলে ২৫ বছর পর্যন্ত পেনশন মিলবে, নাবালিকা কন্যা পেনশন পাবে বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত।