আবার চড়চড়িয়ে বাড়ছে এ দেশের কোভিড রোগীর সংখ্যা। বোঝাই যাচ্ছে, আমরা খুব হালকাভাবে নিয়েছি অসুখটাকে – এটা তারই ফল। এখনও এ রাজ্যে যেহেতু নয়া সংক্রমণের হার মাত্রাতিরিক্ত বেশি নয়, তাই কোভিড প্রোটোকল মানার ব্যাপারে চরম গা ছাড়া ভাব স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তাতে কিন্তু বিপদের আশঙ্কাই ওত পেতে রয়েছে।
মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রতিদিন। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মহারাষ্ট্রের অবস্থা নিয়ে তাঁরা গভীর উদ্বেগে রয়েছেন। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে – প্রচারসভায় ভিড় হচ্ছে। সামনে বোর্ডের পরীক্ষা আছে, ভোটপর্বের গোটাটাই হটস্পট পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে – কারণ সব ক’টাতেই অনেক মানুষ অজস্র সারফেস ছোঁবেন। তাই সেকেন্ড ওয়েভ আসাটা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।
এই অবস্থায় আপনাকে বাড়তি সতর্ক থাকতেই হবে, তা ছাড়া কিন্তু বাঁচার আর কোনও রাস্তাই নেই। মাস্ক পরা, স্যানিটাইজ করার পুরোনো রুটিনে ফিরুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। বাইরে থেকে ফিরলে পোশাক বদলান, স্নান করুন। তখনই সেটা সম্ভব না হলে অন্তত হাত ধুয়ে নিন ভালো করে। শরীর খারাপ লাগলে বাড়ির বাইরে না যাওয়াই ভালো।
মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাতের পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে হয়তো সরকারকে লকডাউনের পথেই হাঁটতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে আর্থিকভাবে ফের চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে গোটা দেশ। ডাক্তাররা অবশ্য আগে থেকে প্যানিক না করে ফের নিয়মের রাস্তায় ফেরার উপর জোর দিচ্ছেন।
ভ্যাকসিন নেওয়ার চেষ্টা করুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। বিশেষ কোনও পক্ষপাত বা পছন্দ রাখবেন না – হাতের কাছে যা পাচ্ছেন, সেটাই নেওয়া উচিত। সরকার ভ্যাকসিনের দামের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারিত করে দিয়েছে, সরকারি-বেসরকারি নানা জায়গায় তা পাওয়া যাচ্ছে। কোনও কোনও বেসরকারি কেন্দ্রে সিনিয়ার সিটিজেন ছাড়াও ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত কো-মর্বিডিটিতে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর টীকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। বাড়ির কাছের ক্লিনিকে খোঁজখবর শুরু করে দিন এখন থেকেই।
গত মাসের এই সময়ে একের পর এক সেফ হোম বন্ধ হয়েছে, মিডিয়ায় প্রকাশিত হাতে গোনা করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট দেখে মনে হচ্ছিল যে রোগটাকে আমরা হারিয়েই দিয়েছি কোন জাদুবলে! ডাক্তার ও বিশেষজ্ঞরা তখনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, এত আত্মবিশ্বাস না বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কার্যত সেটাই হয়েছে। এখন থেকে সাবধান হলে হয়তো বিপদ বাড়াটা এড়াতে পারবেন।