বাজার অগ্নিমূল্য, পাশাপাশি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গ্যাসের দাম। কিন্তু তাই বলে তো আর রান্না-খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া যায় না! সংসার খরচ কমানোর অন্য ব্যবস্থা করতে হবে।
. গ্যাস বাঁচানোর ক্ষেত্রে আপনার সবচেয়ে বড়ো বন্ধু হতে পারে প্রেশার কুকার। যে কোনও রান্না ভালো করে কষে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে নিন। লাউ, পেঁপে, বাঁধাকপির মতো সবজি সেদ্ধ হতে সময় লাগে বেশি। সামান্য নুন, চিনি দিয়ে তা প্রেশার কুকারে ভাপিয়ে নিয়ে রান্না করুন।
. চাল বা ডাল রান্নার আগে বেশ অনেকক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। রান্নার আগে জল ফেলে দেবেন। প্রেশারে দিয়ে সেদ্ধ করা যায় দুটোই। তাতে গ্যাস বাঁচে। প্রেশারে রান্না করা ভাত না সহ্য হলে একটা কাজ করুন। টগবগে গরম জলে চাল ছাড়ুন, ভাত দু’বার ফুটে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। আধ ঘণ্টা পর দেখুন, চাল অনেকটা নরম হয়ে যাবে। তখন আর একবার ফুটিয়ে ফ্যান গেলে নিলেই হবে।
. বার বার চা করতে হয়? তা হলে চায়ের জল ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে ফ্লাস্কে ভরে রেখে দিন। চা বানানোর আগে আর একবার গরম করে নিলেই হবে!
. বাসন ধুয়ে শুকনো করে গ্যাসে বসান। না হলে বাসনের জল শুকোতেও এনার্জি পোড়ে। রান্নায় একগাদা জল দেবেন না, আর রান্না বসানোর আগে হাতের কাছে সব জোগাড় রাখুন। রাঁধতে বসে কড়া জ্বলে যাচ্ছে, অথচ মশলা বাটা বা আনাজ কাটা নেই — এরকম যেন না হয়।
. কম আঁচে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। তাতে গ্যাস বাঁচে, রান্নায় পুষ্টিগুণ বজায় থাকে। রান্নায় জল দেওয়ার সময়ে গরম জল দিন। গরম তরকারিতে ঠান্ডা বা ঘরের তাপমাত্রার জল দিলে রান্না হতে দেরি হবে – তাই হাতের কাছে গরম জল রাখুন।
. মুরগি, মাছ, মাটন রান্নার আগে অবশ্যই ম্যারিনেট করে রাখুন। আপনি কী রান্না করছেন, তার উপর নির্ভর করে ম্যারিনেশন বাছাই করতে হবে। দই, ভিনিগার, লেবুর রস, আদা-রসুনবাটা ইত্যাদি ম্যারিনেশন হিসেবে খুব ভালো, সঙ্গে একটু তেল বা ঘি-ও দেবেন। রান্না করতে তা হলে খুব বেশি সময় লাগবে না।