ভারত সরকারের সিভিল এভিয়েশন মন্ত্রক কিছুদিন আগে ‘ড্রোন রুলস ২০২১’ নামক একটি প্রস্তাবিত আইন পেশ করেছে জনতার দরবারে। সাধারণ মানুষ আইনের ধারাগুলি দেখে ৫ আগস্টের মধ্যে তাঁদের মত জানাতে পারবেন, সেই অনুযায়ী সংশোধনীর সাহায্য নিয়ে এই আইন পেশ করা হবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দরবারে।
এক শ্রেণির বিশেষজ্ঞের বক্তব্য হচ্ছে, ড্রোন প্রযুক্তি সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে উন্নয়নের নতুন দিশা দেখা যাবে। আগামীদিনে অনেক কিছুই ড্রোনের ভরসায় চলবে, তাই এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া উচিত। ইদানীং সীমান্তে, বিশেষ করে কাশ্মীর সীমান্তে প্রতিবেশী দেশের ড্রোন নিয়মিত হানা দিচ্ছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনাও আছে – কিন্তু তা সত্ত্বেও আগামী দিনের খুব গুরুত্বপূর্ণ এই প্রযুক্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকতে চায় না সরকার।
. এর আগে ড্রোনের মাধ্যমে বেসরকারি উদ্যোগে কোনও কাজ করতে গেলে বিবিধ অনুমতি ও লাইসেন্স লাগত। এই আইন পাশ হলে বিধিনিষেধ এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে। তবে সরকারের অনুমতি লাগবেই।
. ড্রোন ব্যবহারের খরচ কমবে। ড্রোনের আকারের উপর খরচ নির্ভর করবে না।
.কার্গো ডেলিভারির জন্য গড়ে তোলা হবে বিশেষ ড্রোন করিডর। খুব তাড়াতাড়ি, অনেক কম খরচে প্রয়োজনীয় সামগ্রী মানুষ পেয়ে যাবে দোরগোড়ায়।
. সরকার ডিজিটাল স্কাই প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে আগ্রহী। সেখানে নিজেদের যাবতীয় তথ্যপঞ্জি জানিয়ে ড্রোন ব্যবহারের অনুমতি নিতে পারেন ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকেই পাওয়া যাবে সার্টিফিকেট আর এয়ারস্পেস ম্যাপ। কোন ড্রোন কোন করিডর দিয়ে যাতায়াত করবে, তাও নির্দিষ্ট থাকবে।
. তবে এয়ারপোর্ট, মিলিটারি বেস, ভিআইপি এলাকায় বহাল থাকবে নিষেধাজ্ঞা।
. জিওফেন্সিং ডিটেলের সৌজন্যে সমস্ত ড্রোনের কাছে আকাশপথ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য আপডেট করা থাকবে।
. এখনও পর্যন্ত ভিস্যুয়াল আর্টিস্ট, ফোটোগ্রাফার আর খুব শৌখিন কিছু মানুষ ছাড়া আর কেউই ড্রোন ব্যবহার করেন না। ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তা কাজে লাগানো গেলে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে নিঃসন্দেহে।
. একবার এই আইন পাশ হয়ে গেলে অনৈতিক বা বিপজ্জনক কাজে ড্রোনের ব্যবহার বন্ধ করা যাবে বলেও মনে করে মিনিস্ট্রি অফ সিভিল এভিয়েশন।
. অ–বাণিজ্যিক কাজে মাইক্রো আর ন্যানো ড্রোন ব্যবহারের জন্য কোনও পাইলট লাইসেন্স লাগবে না।