ফের ১৫ দিনের লকডাউন ঘোষিত হয়েছে রাজ্য জুড়ে – মানুষ পাগলের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে জিনিসপত্র কিনতে আরম্ভ করেছে। একে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের আকাল আছে বাজারে, তার উপর আবার লকডাউনে দরকারি ওষুধ না মিললে কী হবে তা ভেবে বহু মানুষ রীতিমতো আতঙ্কিত।
. এভাবে প্যানিক করবেন না, তাতে লাভ নেই। সংক্রমণের চেন ভাঙার একটি উপায় হল লকডাউন – সাধারণ মানুষ, বিশেষত অসহায় রোগী বা তার পরিবারের জীবন আরও দুর্বিষহ করে তোলা সরকারের উদ্দেশ্য নয়।
. স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, জল, আইন আর স্বেচ্ছাসেবার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ থাকছে না। টেলিকম, ইন্টারনেট, দমকল, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, সিভিল ডিফেন্সও চালু থাকবে। যাঁরা স্যানিটেশন, সুয়েজ বিভাগে কাজ করেন, তাঁরাও ছাড় পাচ্ছেন লকডাউনের হাত থেকে – তার মানে আপনার বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহের কাজ অব্যাহত থাকবে।
. এই সব জরুরি পরিষেবা যাঁরা জোগান তাঁরাই এই ক’দিন লোকাল ট্রেন, বাস, মেট্রো ইত্যাদি ব্যবহার করবেন – সাধারণ মানুষের জন্য তা খোলা থাকবে না।
. ভ্যাকসিনেশনের কাজ চলবে। টিকা দেওয়ার থাকলে সঙ্গে কাগজ রাখুন, ট্যাক্সি বা অটোয় চাপতে গেলেও চালক তা দেখতে চাইতে পারেন। অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে বা ক্লিনিকে গেলে, ওষুধ কিনতে বেরোলে, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্টের জন্য গেলেও কোনও অসুবিধে হবে না।
. অব্যাহত থাকছে মাছ, ডিম, সবজি, ফল, ওষুধপত্র, মাংস ইত্যাদির সাপ্লাই চেন – ভিন রাজ্য থেকেও ট্রাক আসবে এসব নিয়ে। অক্সিজেন বা এলপিজি নিয়ে যাতায়াতও চালু থাকবে আগের মতোই।
. বাজার আর মুদির দোকান খোলা পাবেন সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত, তবে চেষ্টা করুন রোজ বাজারে না যাওয়ার। ভিড় এড়িয়ে না চললে কিন্তু সংক্রমণের আশঙ্কা থেকেই যাবে।
. মিষ্টির দোকান খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
. ওষুধের দোকান আর চশমার দোকান খোলা থাকবে আগের মতোই – তাদের ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ লাগু হচ্ছে না। তবে কোভিড বিধি মানতে হবে কঠোরভাবে – কোনওভাবেই ভিড় করবেন না কোথাও।
. শাড়ি আর গয়নার দোকান খোলা থাকছে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টে পর্যন্ত – তবে সবাই যে খুলবেনই, এমন গ্যারান্টি নেই। একবার ফোন করে তবেই বেরোন বাড়ি থেকে। যাঁদের পরিবারে কোনও অনুষ্ঠান আছে, তাঁরা যাতে অসুবিধেয় না পড়েন তাই এই ব্যবস্থা।
. চালু থাকবে হোম ডেলিভারি আর ই-কমার্স। বাড়িতে থেকে যতটা বাজার-দোকান করার করে নিন।
. ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত, এটিএম খোলা থাকবে সব সময়েই।
. অহেতুক রাস্তায় বেরোবেন না, আড্ডা দেবেন না। সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন, রোজ বাড়ির ছাদে খানিক হাঁটাচলা করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খেলে মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে, তাই কারও পরামর্শ শুনে একগাদা ওষুধ কিনে রাখবেন না বাড়িতে – তাতে কোভিড চিকিৎসা আরও জটিল হয়ে যাচ্ছে।